DA

বকেয়া ডিএ নিয়ে নতুন চাপে রাজ্য, সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের হুঁশিয়ারি নবান্নকে

রাজ্য সরকারের সব দফতর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার ছুটি ছিল। সে কারণে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিতে পারেনি সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:২৯
Share:

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের সংগঠনের। — ফাইল ছবি।

বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) না পেলে তাঁরা নির্বাচনের কাজে যাবেন না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নবান্ন এবং নির্বাচন কমিশনকে এমন হুঁশিয়ারিই দিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়ে মঙ্গলবার এই চিঠি দিয়ে এসেছে সংগঠন। তবে রাজ্য সরকারের সব দফতর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার ছুটি থাকায় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিতে পারেনি যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, মুখ্য সচিব এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারকে ইমেল করা হয়েছে। বুধবার অফিস খুললে সংগঠনের তরফে সেখানে যাবেন সদস্যেরা।

Advertisement

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই আবহে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দু’টি শর্তের কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ওই সংগঠন। সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, অনতিবিলম্বে তিন শতাংশ হারে ডিএ বাড়াতে হবে রাজ্যকে। তাতে মূল বেতনের (বেসিক) ৪২ শতাংশ ডিএ প্রাপ্তি হবে কর্মীদের। সংগঠনের দ্বিতীয় শর্ত হল, শীঘ্রই রাজ্য সরকারের সব খালি পদে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবি পূরণ না করে ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হল সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে বলেও লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ সব শর্ত পূরণ না হলে তাঁরা ভোটের ডিউটিতে যাবেন না।

ওই সংগঠনের দাবি, ডিএ-র ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করলে নতুন ব্যবস্থায় কেন্দ্রের সঙ্গে বাংলার ডিএ-র ব্যবধান বেড়ে হবে ৩৯ শতাংশ। এই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ।

Advertisement

অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টে এই ডিএ মামলা এখনও বিচারাধীন। আগামী ১৫ মার্চ মামলাটির পরবর্তী শুনানি। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলাটি প্রথম বার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। পাশাপাশি, এই মামলা শুনানির জন্য নতুন করে ডিভিশন বেঞ্চও গঠিত হয়। সেখানে ছিলেন দুই বাঙালি বিচারপতি— বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। কিন্তু ওই দিনই মামলাটি থেকে বিচারপতি দত্ত সরে দাঁড়ান। ফলে মামলার শুনানি হয়নি। জানুয়ারিতে আবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ১৬ জানুয়ারি, সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়। শেষ পর্যন্ত তা-ও হয়নি।

২০২২ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাদের যুক্তি, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement