প্রতীকী ছবি।
ছুঁয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কামরূপ মহানগরের কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে একসঙ্গে ১৭৬ জন রোগী পালানোর চেষ্টা করল। শেষ পর্যন্ত শূন্যে গুলি ছুড়ে পুলিশ জানাল, পালানোর চেষ্টা করলেই গুলি করা হবে। বুলেট করোনা মানে না— এটা বুঝতে পেরে বাগ মানে কোভিড-কয়েদিরা।
দু’দিন আগে অব্যবস্থার অভিযোগে চাংসারির কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে বেরিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন করোনা রোগীরা। এ’বার তেপেসিয়ার এলএনআইপি কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে গত রাতে পালানোর চেষ্টা করল করোনা আক্রান্ত কয়েদির দল।
পুলিশ জানায়, গুয়াহাটি কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা এনডিএফবি প্রধান রঞ্জন দৈমারি, কৃষক নেতা অখিল গগৈ-সহ এখনও পর্যন্ত ১৮৪ জনের দেহে কোভিড সংক্রমণ ঘটেছে। তাদের মধ্যে ১৭৬ জন কয়েদিকে রাখা হয়েছে তেপেসিয়ায়। এডিজি জি পি সিংহ জানান, ভিতরে কর্মীদের তল্লাশি চালিয়ে গত রাতে পুলিশ বেশ কিছু সিগারেট, নেশার সামগ্রী পায়। তারা জানায়, কয়েদিদের দেওয়ার জন্যে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশের সঙ্গে তাদের বিতণ্ডা শুরু হলে কয়েদিরাও উপর থেকে নেমে এসে তাতে যোগ দেয়। তার পরেই শুরু হয় পালানোর চেষ্টা।
পুলিশ জানায়, কয়েদিরা ছক কষেছিল যে, কারাগারের মতো নিরাপত্তা এখানে থাকবে না এবং তাদের কোভিড থাকায় পুলিশও তাদের ধরতে ভয় পাবে। সেই সুযোগে তারা পালাবে। তাই তারা পুলিশকর্মীদের দিকে তাড়া করে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দু’জন বেরিয়েও যায়। অন্ধকারে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশ শূন্যে গুলি চালাতে থাকে। বাইরে বেরোলে গুলি করে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। আরও পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। জিপি সিংহ জানান, এখানেও জেলের মতোই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। পলাতকদের খোঁজা হচ্ছে।