কিশোরের বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন কিশোরীর বাবা। প্রতীকী ছবি।
মাস তিনেক ধরে যত্রতত্র বছর চোদ্দোর কিশোরীর পিছু ধাওয়া করত। তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। তবে এ বার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সটান ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে পড়ল বছর ষোলোর এক কিশোর। এর পর কিশোরীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে তাকে সিঁদুর পরিয়ে দিল সে। এই অভিযোগে ওই কিশোরকে আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪ বছরের ওই মেয়েটি মহারাজগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। এলাকার একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে সে। তার বাবার অভিযোগ, গত ৩ মাস ধরে মেয়েকে ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। সব সময়ই তাঁর মেয়ের পিছু নিত ছেলেটি। তাকে প্রেম নিবেদন করেছে। এমনকি, তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে চায় সে। সম্প্রতি তাঁর অনুপস্থিতিতে মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে ওই কিশোর।
মহারাজগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রবিকুমার রাই সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ওই কিশোরীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকেছিল অভিযুক্ত। সে সময় ঘর ঝাঁট দিচ্ছিল ওই কিশোরী। দু’জনের মধ্যে এক জন কিশোরীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে রাখে। এর পর কিশোরীর কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেয় কিশোর।’’ এই ঘটনায় চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে ওই কিশোরেরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর বাবা পেশায় গাড়িচালক। তিনি বাড়ি ফিরলে বাবাকে গোটা ঘটনাটি জানায় ওই কিশোরী। মহারাজগঞ্জ থানায় ওই কিশোরের বিরুদ্ধে পকসো (প্রোটেকশন অফ চিল্ডেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট) আইন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন কিশোরীর বাবা। রবি বলেন, ‘‘ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে ধরেছে পুলিশ। তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে।’’