Galwan

কালো ত্রিপলের নয়া চিনা ছাউনি, গালওয়ানের নতুন ছবি

‘গ্রাউন্ড জিরো’ এখনও চিন সেনার নিয়ন্ত্রণে বলেই শনিবার প্রকাশিত ওই উপগ্রহ চিত্র এবং খবরে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ২১:১৫
Share:

গালওয়ানে চিনা ছাউনি। ২৫ জুন তোলা উপগ্রহ চিত্র। ছবি: প্ল্যানেট ল্যাব।

সংখ্যায় অন্তত ১৬টি। কালো ত্রিপলের ছাউনির তলায় সেনাদের থাকার বন্দোবস্ত। উপগ্রহ চিত্রে দৃশ্যমান, আশপাশে ছড়িয়ে আরও কিছু সামরিক তৎপরতার চিহ্ন। গালওয়ান নদীর তীরে ১৫ জুলাইয়ের সেই ‘গ্রাউন্ড জিরো’ এখনও চিন সেনার নিয়ন্ত্রণে বলেই শনিবার প্রকাশিত ওই উপগ্রহ চিত্র এবং খবরে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

পেট্রোলিং পয়েন্ট (পিপি) ১৪-র অদূরে গালওয়ান নদীর তীরের ওই উপগ্রহ চিত্রগুলি ২৫ এবং ২৬ জুনের বলে খবরে দাবি করা হয়েছে। ২২ জুনের একটি উপগ্রহ ছবির সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছে, সেখানে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সামরিক উপকরণ ও যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কম। কিন্তু মার্কিন সংস্থা ম্যাক্সার সূত্রে প্রাপ্ত ২২ জুনের ছবিতে কালো তাঁবুগুলির অস্তিত্ব নেই। ফলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, গালওয়ানের সংঘর্ষস্থলে গত তিন দিনে বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে চিন।

পাশাপাশি, ২৫ জুনের উপগ্রহ চিত্রে গালওয়ানে চিনা বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থানকারী ভারতীয় সেনা ক্যাম্প দেখা যায়নি। প্রকাশিত খবরে দাবি, এখন সেখানে ভারতীয় সেনার তৈরি একটি পাথরের প্রাচীর রয়েছে। সেটির কিছুটা অংশও আবার ভাঙা। পিপি ১৪-র অদূরের ওই এলাকা এলএসি-র প্রায় ৯ কিলোমিটার অন্দরে, ভারতীয় ভূখণ্ডে। সেখান থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরেই দারবুক-শিয়োক-দৌলত বেগ ওল্ডি সড়কের অবস্থান। ফলে গোটা বিষয়টি নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

Advertisement

আরও পড়ুন: লাদাখের পি পি ১৪-র কাছে ফের ভারতীয় এলাকা দখল করল চিন

আরও পড়ুন: রোম উপড়ে, মাংস খুবলে অত্যাচার থানায়, মৃত্যু বাবা-ছেলের

২২ জুনের দুই সেনার কোর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমাতে সেনাসংখ্যা হ্রাস ও মুখোমুখি অবস্থানকারী দুই সেনার পিছনোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। সরকারি সূত্রের খবর, চিন সেনার তরফে এ বিষয়ে ইতিবাচক বার্তাও মিলেছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি বলেই ২৫ জুনের ওই ‘হাই রেজোলিউশন স্যাটেলাইট ইমেজ’ ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার এরিয়া এবং গোগরা-র হট স্প্রিং এলাকাতেও চিনা তৎপরতা বাড়ার লক্ষণ নজরে এসেছে বলে কয়েকটি খবরে দাবি। চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্ত্রি এ দিন একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘চিনকে বুঝতে হবে, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা ভাঙা সঠিক পথ নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement