প্রতীকী ছবি।
ফুলডংসাই এলাকায় গত ১৬ অক্টোবর মিজোরামের মামিত জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। পর দিন ত্রিপুরা সরকারের অতিরিক্ত সচিব এ কে ভট্টাচার্য মিজোরাম সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের ওএসডি তথা উপসচিব ডেভিড এইচ লালথাংলিয়ানা-কে এক কড়া চিঠি দেন। বক্তব্য, জম্পুই পাহাড়ের ফুলডংসাই গ্রাম ত্রিপুরার অংশ। সেখানে ১৪৪ ধারা জারির এক্তিয়ার নেই মিজোরাম সরকারের। ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ ওই আদেশ যেন অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হয়। ত্রিপুরার সরকারের চিঠি পেয়ে রবিবারই মামিত জেলা প্রশাসন সেখান থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ত্রিপুরার সংস্থা ‘সংরাঙ্গমা’ আগামী ১৯ ও ২০ অক্টোবর বেতলিংশিপ এলাকায় একটি শিবমন্দির তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এলাকায় সীমানা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে মিজোরাম ও ত্রিপুরার মধ্যে। বিতর্কিত এলাকায় মন্দির তৈরি উদ্যোগ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে মিজোরামের মামিত জেলা প্রশাসন ফুলডংসাই এবং জোমুয়ানতলাং এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল।
ত্রিপুরা সরকারের অতিরিক্ত সচিব চিঠিতে এ-ও জানিয়েছেন, ফুলডংসাই গ্রামটি উত্তর ত্রিপুরা জেলায় কাঞ্চনপুর মহকুমায় জম্পুই হিলস আরডি ব্লকের সাবুয়াল ভিলেজ কমিটির অধীনে রয়েছে। রাজ্য সরকার বহুকাল আগে পর্যটন দফতরের অধীনে বেতলিংশিপ-এ একটি ওয়াচ টাওয়ারও তৈরি করেছিল। তাই ওই এলাকায় মামিত জেলা প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’। এর পরে পিছু হটে মিজোরাম প্রশাসন।