জেলাশাসক এস রাজালিঙ্গম বলেন, ‘‘কুয়োয় পড়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানতে পেরেছি, মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে কুয়ো ঢাকার স্ল্যাবের উপর বসে ছিলেন। কেউ কেউ দাঁড়িয়েও ছিলেন। কিন্তু স্ল্যাবটি ভার ধরে রাখতে পারেনি। স্ল্যাব ভেঙে সবাই কুয়োয় পড়ে যান।’’
টুইটার থেকে নেওয়া।
বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হল অন্তত ১৩ জন মহিলা, শিশুর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা উত্তরপ্রদেশ সরকারের। অন্তত ১৫ জনকে গ্রামবাসীরাই উদ্ধার করতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কুশিনগরের নেবুয়া নওরঙ্গিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে চলছিল বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। বাড়ির উঠোনে সবাই জড়ো হয়েছিলেন। উঠোনেই একটি পুরনো কুয়ো কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে ঢাকা ছিল। সেখানে কেউ বসে, আবার কেউ দাঁড়িয়ে দেখছিলেন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। এমন সময় ভেঙে পড়ে কংক্রিটের স্ল্যাবটি। অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন মহিলা ও শিশু পড়ে যান কুয়োর ভিতরে। মুহূর্তে হুলস্থুল পড়ে যায় বিয়েবাড়িতে। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন সকলে। গ্রামবাসীরা শিশু ও মহিলা মিলিয়ে ১৫ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও, ১৩ জনের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা ও শিশু।
জেলাশাসক এস রাজালিঙ্গম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘কুয়োয় পড়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানতে পেরেছি, মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে কুয়ো ঢাকার স্ল্যাবের উপর বসে ও দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু পুরনো স্ল্যাবটি ভার ধরে রাখতে পারেনি। স্ল্যাব ভেঙে সবাই কুয়োয় পড়ে যান।’’ মৃতদের পরিবারকে এককালীন ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সরকারি আধিকারিকরা।
ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।