ঝাড়খণ্ডের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। প্রতীকী ছবি।
ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলায় বাজ পড়ে গত তিন দিনে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার ধানবাদ জেলার ওয়ারবাড়া এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা এবং তাঁর কন্যার। অন্য দিকে, জামশেদপুরের বেহরাগোড়া এবং গুমলা জেলার চিরোডিহোয় ওই দিন একই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও দু’জনের।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ওই একই দিনে লোহারডাগা জেলায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারেও বজ্রপাতের কারণে সাত জনের মৃত্যু হয়। চাতরা, হজারিবাগ, রাঁচী, বোকারো এবং খুঁটি জেলায় এক জন করে বজ্রপাতের কারণে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়াও পলামু এবং হুসেনাবাদে দু’জনের মৃত্যু হয়।
রাজ্য সরকারে তরফে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
সপ্তাহখানেক আগে ঝাড়খণ্ডে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। গরমে হাঁসফাঁস সেই অবস্থা থেকে মুক্তি দেয় গত তিন দিনের বৃষ্টি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। জামশেদপুরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার বৃষ্টি হয় ৭৯ মিলিমিটার। বোকারোতে ৫২.৪ মিলিমিটার এবং রাঁচীতে ৫.৯ মিলিমিটার। রাজ্য আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছিল, বৃষ্টিতে তাপমাত্রা নামলেও ২৮ মে থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।