এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সৎ বাবা দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন। মা ছেড়ে গিয়েছেন আগেই। তাই ধর্ষক বাবাকে কাঠগড়ায় তুলতে একাই লড়ল ১১ বছরের নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে ৩০ বছরের সাজা শুনিয়েছে তেলঙ্গানার পকসো আদালত।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক টি অনিতা নাবালিকা কন্যাকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং অস্বাভাবিক যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স ১১ বছর। হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সে। অভিযোগ, ২০২২ সালে যখন তার ন’বছর বয়স, সেই সময় থেকেই তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন তার সৎ বাবা। কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরেও শিশুটির মা অভিযোগ দায়ের করেননি। শেষমেশ বাবার বিরুদ্ধে নিজেই অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকা। পরিবারের সমর্থন না পেলেও পুলিশের সহায়তায় আদালতেও একাই সাক্ষ্য দিয়েছে ১১ বছরের ওই নাবালিকা। তিন দিনের চেষ্টায় তার গোপন জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পেশায় অ্যাপ ক্যাব চালক। তিনি শিশুটির মায়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। আদালতে অভিযুক্তের দাবি ছিল, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে আদালত। বিচারক জানিয়েছেন, ১১ বছরের এক নাবালিকার পক্ষে বার বার মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া সম্ভব নয়। পর পর জিজ্ঞাসাবাদে বয়ান অপরিবর্তিত রাখাও সম্ভব নয়। ওই ব্যক্তিকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা তেলঙ্গানায় এখনও পর্যন্ত কোনও আদালতের দেওয়া দীর্ঘতম কারাবাসের সাজা।