প্রতীকী ছবি।
মাত্র সাত ঘণ্টায় শতাধিক মহিলার বন্ধ্যাত্বকরণের অভিযোগ উঠল ছত্তীসগঢ়ের এক সরকারি স্বাস্থ্যশিবিরে। মহিলাদের মধ্যে বেশির ভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। ঘটনাটি ঘটেছে অম্বিকাপুর জেলায়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসন। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নর্মদাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মহিলাদের বন্ধ্যাত্বকরণের কাজ হয়। অম্বিকাপুর জেলার মেইনপত এবং সীতাপুর ব্লক থেকে এসেছিলেন মহিলারা। বন্ধ্যাত্বকরণের পর ১০-১৫ মিনিট বিশ্রাম শেষে মহিলাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রের দাবি, রাত ৮টা থেকে ভোর ৩টে পর্যন্ত এই অস্ত্রোপচারের কাজ হয়েছে।
যদিও মহিলাদের উপর দায় চাপিয়ে অভিযোগ এড়ানোর চেষ্টা করেছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জিবনুস একতা এবং চিকিৎসক আর এস সিংহ। তাঁদের দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে মহিলাদের ভিড় উপচে পড়ছে। অস্ত্রোপচার না করিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরতে চাইছেন না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে।
তবে সরকারি এক সূত্রে বলা হয়, দিনে ৩০ জন মহিলার বন্ধ্যাত্বকরণের অস্ত্রোপচার করা উচিত। যে হেতু পরিবার পরিকল্পনার বিষয়টি নিয়ে পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের উপরই বেশি দায় চাপানো হয়, তাই অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বন্ধ্যাত্বকরণের তাগিদে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের সঙ্গে জড়িত দুই চিকিৎসকের কাছে জবাব চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
সম্প্রতি এই ঘটনা ২০১৪-র এক ঘটনার স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে। ওই বছরে বিলাসপুরে বন্ধ্যাত্বকরণের পর ১৫ মহিলার মৃত্যু হয়। সন্দেহ করা হয়, অস্ত্রোপচারের পর সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে মহিলাদের। সেই ঘটনা দেশ জুড়ে শোরগোল ফেলেছিল।