প্রতীকী চিত্র।
হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন সংস্কারের মধ্যে অন্যতম হল নাক এবং কান ফোটানো। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী যে কোনও দিন ইচ্ছা থাকলেই নাক এবং কান ফোটানো উচিত নয়। নির্দিষ্ট দিন ক্ষণ দেখে তবেই নাক ফোটাতে হয়। নাক ফোটানোর জন্য কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
জন্মছক অনুযায়ী গ্রহের স্থান কেমন থাকলে নাক ফোটানো উচিত—
• জাতকের জন্মছকে বুধ বা চন্দ্র ষষ্ঠ বা অষ্টম স্থানে পীড়িত থাকলে নাক ফোটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
• জাতকের কোষ্ঠীর নবম বা দ্বাদশে বুধ থাকলে নাক ফোটানো হয়। এর ফলে বুধের স্থান ভাল হয় বলে মানা হয়।
• নাক ফোটানোর ৪৫ দিন পর্যন্ত রুপো দিয়ে গড়া নাকের অলঙ্কার পরতে হয়।
• নাকের প্রথম অংশ বুধ এবং সমগ্র নাক বৃহস্পতির হয়। তাই নাক সর্বদা পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা বিপত্তি কম আসে। শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা মানে বৃহস্পতির বাধা হিসেবে ধরা হয়। এর কিছুটা প্রভাব বুধের ওপরেও পড়ে। বৃহস্পতির স্থানে বাধা এলে ভাগ্যের উন্নতি সাধন ঘটে এবং নানা বাধা বিপত্তির সৃষ্টি হয়।
নাক ফোটানোর পর কী করবেন
সঠিক দিন ক্ষণ দেখে নাক ফোটানোর পর বৃহস্পতিবার হলুদ মিষ্টি, বাতাসা বা লাড্ডু দান করতে হবে।
তবে অবশ্যই মনে রাখতে নাক পর তিন মাস নাকের ক্ষত স্থানে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।