প্রাচীনকাল থেকে হিন্দু মহিলারা স্বামীর জন্য সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। সিঁদুরকে মেয়েদের ১৬ সিঙ্গারের মধ্যে একটা মানা হয়। বিবাহিত মহিলাদের এক প্রকার প্রতীক হিসেবে দেখা হয় সিঁদুরকে। হিন্দু ধর্মে বলা হয়, সিঁদুরের লাল রং স্বামীর দীর্ঘ জীবনের কামনা করে মহিলারা পরেন। লাল রং শক্তি ও ভালবাসাকে বহন করে বলে মনে করা হয়। কিন্তু ধর্ম নয়, বৈজ্ঞানিকরাও সিঁদুর পরার কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দিয়েছেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক হিন্দু ধর্ম মতে ও বৈজ্ঞানিক মতে সিঁদুর পরার ব্যাখ্যা।
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী কেন সিঁদুর পরা উচিত মহিলাদের?
সিঁদুর বিবাহিত মহিলার প্রতীক যা তাঁরা স্বামীর মঙ্গলকামনা করে পরে থাকেন। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, স্ত্রী তাঁর সিঁদুরের শক্তিতে স্বামীকে যে কোনও বিপদ থেকে বাঁচাতে পারেন। তাই ধর্মে বিবাহিত মহিলাদের বিয়ের পর সিঁদুর পরা রীতি।
আরও পড়ুন: ভুল করেও এই রাশির জাতক টার্টল রিং পরবেন না
হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবী লক্ষ্মীকে মাথায় বিরাজমান মানা হয়। তাই দেবী লক্ষ্মীকে সম্মান করতে বিবাহিত মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। লক্ষ্মীর কৃপায় স্বামী ও স্ত্রী একসঙ্গে সুখে থাকেন বলে মানা হয়। লক্ষ্মীর কৃপায় সম্পর্কে কোনও সমস্যা আসে না।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সিঁদুরকে শক্তির প্রতীক মানা হয়। প্রাচীনকাল থেকে বলা হয়, লাল রং সৃষ্টির প্রতীক। লাল রংকে প্রকৃতির সৃষ্টিকর্তা মানা হয়। তাই ভারতীয় নারীরা একান্ত প্রসাধন হিসেবে সিঁদুরকে প্রাচীনকাল থেকে ধারণ করে আসছেন। নারীর কপালে সিঁদুর সন্তানধারণের ক্ষমতাকে বর্ণনা করে।
হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেবতা বিরাজমান থাকেন। স্বয়ং ব্রহ্মা কপালে অধিষ্ঠান করেন। ব্রহ্মাকে সম্মান জানাতে ও তুষ্ট রাখতে বিবাহিত মহিলাদের কপালে সিঁদুর পরা শাস্ত্র মতে উচিত।
বৈজ্ঞানিক মতে কেন সিঁদুর পরা উচিত মহিলাদের?
সিঁদুর পরার কিছু বৈজ্ঞানিক দিকও রয়েছে। বৈজ্ঞানিক মতে, সিঁদুর মাথার নার্ভের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মহিলারা যেখানে সিঁদুর পরেন, মাথার সেই জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ থাকে। মেডিটেশনেও সাহায্য করে সিঁদুর।
বিয়ের পর মহিলাদের জীবনে নানা চাপ আসে। সিঁদুরের মধ্যে থাকা পদার্থ মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই সিঁদুর মন ও শরীর উভয়ের জন্য খুবই কার্যকরী।