কানের দুল, চুড়ি, আংটি, গলার হার প্রভৃতি যেমন এক একটি অলঙ্কার, ঠিক তেমনই নাকের ফুলও একটি অলঙ্কার হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। তবে এই অলঙ্কারটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিবাহিত মহিলাদের জন্য আবশ্যক। এর একটি বিশেষ কারণ রয়েছে।
বেশির ভাগ সময় দেখা যায় যে নাকের ছিদ্রটি বাম পাশে করা। কিন্তু নাকের ফুলের মধ্যেও ভিন্নতা থাকে, যেমন নাক ফুল, নথ বা নোলক, তিনটি নাকে পরা হলেও এগুলি মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। সব সময় যে এগুলো নাকের বাম পাশেই পরতে হবে এমন নয়।
যেমন, নাক ফুল নাকের বাম পাশে, নাকের নিম্নভাগে মাঝ বরাবর ছিদ্রতে নোলক পরা হয় এবং যে কোনও এক পাশে নাকে ছিদ্র করে তাকে ঘিরে গোলাকার যে অলঙ্কার পরা হয় তাকে নথ বলে।
আরও পড়ুন: চোখ, আঙুল... নারীর কোন অঙ্গ বড় ও সুন্দর হলে তাঁরা সৌভাগ্যশালী হন
এই গয়নার আবিষ্কার হয়েছে বেশ কয়েক হাজার বছর আগেই। শুধু হিন্দু ধর্মে নয়, মুসলমান, খ্রিস্টান ও শিখদের মধ্যেও এই গয়না পরার রেওয়াজ আছে। আবার অনেক জায়গায় দু’পাশেই নাকে ছিদ্র করার রেওয়াজ আছে।
এটি কেন বিবাহিত মহিলাদের জন্য আবশ্যক—
বিবাহিত মহিলাদের জন্য এই গয়না আবশ্যক। এর একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। বিবাহিত মহিলারা স্বামীর মঙ্গল কামনায় এই অলঙ্কার পরে থাকেন যাতে স্ত্রীর নিঃশ্বাস প্রশ্বাস বা দীর্ঘশ্বাস স্বামীর গায়ে না লাগে। এই গয়নাটি একটি ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(তবে এটি একটি সম্পূর্ণ সামাজিক প্রথা)।