সব দেব দেবীর মূর্তি রাখার নির্দিষ্ট একটা নিয়ম থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
আমরা সকলেই বাড়িতে নানা প্রকার ঈশ্বরের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করি বাড়ির সুখ সমৃদ্ধির জন্য। এবং ঈশ্বরের কৃপায় সেই সুখ সমৃদ্ধি আমরা পেয়ে থাকি। আমরা আমাদের ঠাকুরঘরে নানা দেব দেবীর ছবি বা মুর্তি স্থাপন করি। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে দেব দেবীর মূর্তি স্থাপন করার গুরুত্ব কতটা। সব দেব দেবীর মূর্তি রাখার নির্দিষ্ট একটা নিয়ম থাকে, সেই নিয়ম অনুসারে যদি আমরা ঈশ্বরের মূর্তি রাখি তা হলে বাড়ি থেকে যত প্রকার বাস্তু দোষ রয়েছে এবং যত প্রকার নেগেটিভ শক্তি রয়েছে তা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। বাড়িতে এই দুই দেবতার মূর্তি যদি একসঙ্গে রাখা যায় তা হলে সংসারে নানা ভাবে উন্নতি হবে।
দেখে নেব কোন দেব দেবীর মূর্তি একসঙ্গে রাখতে হয়-----
১) বাড়িতে যখনই শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি রাখা হয় তাঁর সঙ্গে একত্রে রাধারানীর মূর্তি রাখতেই হয়। শ্রীকৃষ্ণের রাধারানী ছাড়া মূর্তি বাড়িতে কোনও ভাবেই রাখতে নেই। প্রত্যেক দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি দর্শন করা যায় তা হলে জীবন থাকে যত প্রকার সমস্যা রয়েছে তা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায় এবং সংসারে উন্নতি হয় চোখে পরার মতো।
বাড়িতে যখনই শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি রাখা হয় তাঁর সঙ্গে একত্রে রাধারানীর মূর্তি রাখতেই হয়। ছবি: সংগৃহীত।
২) বাড়িতে মাতা লক্ষ্মীর মুর্তি যদি থাকে তা হলে ভগবান শ্রীবিষ্ণুর ছবি রাখতেই হবে। অনেকেই মনে করে গৃহে শ্রীবিষ্ণুর ছবি রাখতে হয় কি না, এই প্রশ্ন মনে রাখাই ভুল কারণ যেখানে মাতা লক্ষ্মীর বাস সেখানে শ্রীবিষ্ণুর বাস। যে গৃহে এই দুই দেব দেবী একত্রে বাস করেন সেই গৃহে কোনও প্রকার সমস্যা আস্তেই পারে না। আর যদি কোনও ভাবে সমস্যা এসেও যায় তা খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।