—প্রতীকী ছবি।
ভাগ্যরেখা, হাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেখা। ভাগ্যরেখা জীবনের বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ঘটনার সাফল্য-ব্যর্থতা, উত্থান-পতন, সৌভাগ্য-দুর্ভাগ্য ইত্যাদি নির্দেশ করে। ভাগ্য রেখা সাধারণত মনিবন্ধের উপর থেকে সৃষ্টি হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে চন্দ্রের ক্ষেত্র হইতেও সৃষ্টি হয়।
চন্দ্রের চুড়া হইতে সৃষ্টি ভাগ্য রেখা অনন্য ভাগ্য নির্দেশ করে। এই ধরনের রেখা বিশিষ্ট ব্যক্তি জনসাধারণের সহিত সম্পর্কিত বিষয়ে সাফল্য পান। জনসাধারণের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতার অধিকারী হন। বিপরীত লিঙ্গের উপর প্রভব বিস্তারের বিশেষ ক্ষমতা তাঁদের থাকে। চন্দ্রের ক্ষেত্র থেকে শনির ক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত ভাগ্যরেখা বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ গৃহ সদস্যদের সহিত যেমন ভাই, বোন, কাকা, জ্যাঠা সহিত ব্যবসায় সফলতা লাভ করে।
যে ব্যক্তির ভাগ্যরেখা চন্দ্রের ক্ষেত্র হইতে সৃষ্টি হয়ে শনির ক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, ওই ধরনের ব্যক্তি সাধারণত শিল্প বা রাজনীতির সহিত যুক্ত হন শিল্প বা রাজনীতিতে সাফল্য লাভ করে। সম্পদশালী এবং একাধিক ব্যবসার মালিক হন। এই রূপ ভাগ্যরেখার সহিত কনিষ্ঠার নখ যদি ছোট হয়, তা হলে ব্যবসা এবং রাজনীতিতেও সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
এই রূপ ভাগ্যরেখা যদি পাতলা বা সরু হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যক্তি চিন্তাশীল হন।
মহিলাদের ক্ষেত্রে এই রেখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্দেশ করে। চন্দ্রের ক্ষেত্র থেকে শনির ক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত ভাগ্যরেখা বিশিষ্ট মহিলারা সাধারণত বিবাহের পরে যে পরিবারে যান, সেই পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি হয় অর্থাৎ, ওই পরিবারের আয় বৃদ্ধি হয়, পারিবারিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি হয়। পিতৃগৃহের বা যে পরিবার থেকে যান, ওই পরিবারের ক্ষতি সাধন ঘটে, পারিবারিক উন্নতি হ্রাস পায়, পরিবারের সদস্যগণ বিভিন্ন রোগে ভোগেন ইত্যাদি।
ভাগ্যরেখা চন্দ্রের ক্ষেত্র হইতে উৎপত্তি হয়ে হৃদয় রেখায় গিয়ে ঠেকে গেলে ধীরে উন্নতি নির্দেশ করে।