—প্রতীকী ছবি।
শ্রাবণ মাস শুনলেই মনে পরে দেবাদিদেব মহাদেবের নাম। শ্রাবণ মাস মহাদেবের মাস। যে কোনও দেব-দেবীর পূজা বা আরাধনার উদ্দেশ্য আরাধ্য দেব-দেবীকে তুষ্ট করে মনের ইচ্ছা পূরণ করা বা শুভ ফল প্রাপ্ত হওয়া। বিভিন্ন ফলপ্রাপ্তির জন্য নানা প্রকার শাস্ত্রীয় আচার বা রীতি পালন করা হয়। দেবাদিদেবের পূজার ক্ষেত্রেও তাই। কথায় আছে, দেবাদিদেব অল্পে তুষ্ট হন। তবে তিনি অল্পে রুষ্টও হন। মনে করা হয়, শ্রাবণ মাসে দেবাদিদেবের আরাধনায় খুব সহজেই সুফল প্রাওয়া যায়। বিভিন্ন শাস্ত্রীয় রীতি বা আচার মেনে দেবাদিদেবের আরাধনা করা হয়। বিভিন্ন শাস্ত্রীয় রীতি বা আচারের মধ্যে অভিষেক একটি বিশেষ ধর্মীয় আচার। এই পদ্ধতি বা আচারে পবিত্র মন্ত্র বা দেবাদিদেবের নাম উচ্চারণের সঙ্গে মহাদেবের মূর্তি বা বিগ্রহ বা শিবলিঙ্গকে তরল নৈবেদ্য দিয়ে স্নান করানো হয়।
মনের বিভিন্ন ইচ্ছা বা বিভিন্ন ফল লাভের উদ্দেশ্যে দেবাদিবের উপাসনা করা হয়। আকাঙ্ক্ষিত ফল অনুযায়ী অভিষেকের উপাদান বিভিন্ন হবে। বিভিন্ন উপাদানে অভিষেকে ভিন্ন ফল প্রাপ্তি হয়।
শিবলিঙ্গে কী ধরনের অভিষেকে কী ফল লাভ হয়?
সাধারণত জল দিয়ে অভিষেক খুবই প্রচলিত। এই অভিষেকে জল দিয়ে দেবাদিদেবকে স্নান করানো হয়।
দুধ অভিষেকে শিবলিঙ্গকে দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে আরাধনা করা হয়। এতে দীর্ঘ জীবন প্রাপ্তি হয়।
দই অভিষেকে শিবলিঙ্গকে দই দিয়ে স্নান করয়ে আরাধনা করা হয়। দই অভিষেকে সন্তানের মঙ্গল হয়। সন্তানের শুভ কামনায় দই অভিষেক করা হয়।
ঘি অভিষেকে শিবলিঙ্গকে ঘি দিয়ে স্নান করিয়ে আরাধনা করা হয়। ঘি অভিষেকে রোগ এবং অসুস্থতা থেকে পরিত্রাণ মেলে।
মধু অভিষেকে শিবলিঙ্গকে মধু দিয়ে স্নান করিয়ে আরাধনা করা হয়। মধু অভিষেকে দুঃখ এবং সমস্যার নাশ হয়।
পঞ্চামৃত অভিষেকে শিবলিঙ্গকে পাকা কলা, গুড়, মিছরি, বীজহীন খেজুর ও মধু দিয়ে স্নান করিয়ে আরাধনা করা হয়। পঞ্চামৃত অভিষেকে ধনসম্পদ প্রাপ্তি হয়।
চন্দন অভিষেকে শিবলিঙ্গকে চন্দন দিয়ে স্নান করিয়ে আরাধনা করা হয়। চন্দন অভিষেকে ভাগ্যের উন্নতি এবং স্বাস্থ্য ভাল হয়।