সন্তান না থাকা যে কোনও দম্পতির কাছেই এক চরম অভিশাপ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে সন্তান না হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। এই নিবন্ধে এর ব্যাখ্যা করা হবে না। এখানে দৃষ্টিপাত করা হবে শাস্ত্রীয় মতে কী কী নিয়ম মেনে চলতে পারলে সুসন্তান লাভ অসম্ভব নয়। ঋতুর প্রথম দিন থেকে ১৬ দিন পর্যন্ত স্ত্রীর গর্ভধারণ করার শক্তি থাকে।
দেখে নেওয়া যাক, সুসন্তান লাভ করতে চাইলে কী কী বিষয় মেনে চলা উচিত:
১। ঋতুর প্রথম চার দিন, ১১তম ও ১৩তম দিন সহবাস করবেন না।
২। এই ছয় দিন বাদ দিয়ে বাকি দশ দিনের মধ্যে গর্ভাধান করবেন।
৩। এই দশ দিনের মধ্যেও যত বেশি দিন পরে গর্ভধারণ করবেন, সন্তান তত বেশি সুস্থ ও বলবান হবে ও তার পরমায়ু বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ এই ১০ দিন সময়কালের মধ্যে দশম দিন সবচেয়ে কার্যকর। তারপর ক্রমান্বয়ে নবম দিন, অষ্টম দিন ইত্যাদি।
৪। অবশ্য উল্লেখিত এই দশ দিনের মধ্যেও অমাবস্যা, পূর্ণিমা, চতুর্দশী, অষ্টমী ও সংক্রান্তির দিনগুলিতে সহবাস করবেন না। কারণ এই দিনগুলি পুরুষ ও স্ত্রীর শুক্র ও শনি দুষ্ট থাকে।
৫। রাত্রির প্রথম প্রহরে গর্ভধারণ করলে, সেই গর্ভস্থ সন্তান রুগ্ন ও স্বল্প আয়ুর হয়।
আরও পড়ুন: কোন দেবতা কোন ফুলে তুষ্ট হয় জানেন?
৬। রাত্রির দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রহর গর্ভধারণের জন্য খুব একটা ভাল সময় নয়।
৭। চতুর্থ প্রহরে গর্ভধারণ করলে, সন্তান দীর্ঘায়ু ও নীরোগ হয়।
৮। চতুর্থ প্রহরে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে খুবই উপযুক্ত সময় ও ভাল সময়।
৯। সোমবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রাত্রে সহবাস করলে খুব ভাল।
১০। মঙ্গলবার রাত্রে সহবাস না করাই ভাল।
১১। সকাল, সন্ধ্যা এবং দ্বিপ্রহরে সহবাস হানি কারক।
১২। আপনি সন্তান লাভের চিন্তা তখনই করবেন, যখন আপনার শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবে এবং মনের ভিতর কোনও রূপ খারাপ চিন্তা থাকবে না এবং পেট খালি থাকবে না। তখনই সহবাস করবেন।
১৩। পায়খানা, প্রস্রাব, খিদে ও পিপাসার্ত থাকা অবস্থায় সহবাস করা উচিত নয়।
১৪। যখন সন্তান গর্ভে আসবে, তখন ধর্ম চিন্তা ও সৎ চিন্তা করলে, সন্তান ধার্মিক ও সুখী হয়।
১৫। গর্ভবতী রাগ, হিংসা, মিথ্যা কথা বলা প্রভৃতি অন্যায় আচরণ এবং লোভ করলে গর্ভস্থ সন্তান সেই সমস্ত খারাপ গুণ নিয়ে জন্মায়।
১৬। গর্ভাবস্থায় দিবা নিদ্রা, উপবাস, সহবাস এবং রাত্রি জাগরণ পরিত্যগ করা উচিত।
১৭। রজঃস্বলা অবস্থায় সহবাস করা উচিত নয়। এই সময়ে সহবাস করে গর্ভধারণ হলে এই সমস্ত সন্তান স্বল্পায়ু ও অসুস্থ হয়।
১৮। গর্ভের চতুর্থ মাসে, গর্ভস্থ সন্তানের অঙ্গ ও প্রতঙ্গ ও চৈতন্যের প্রকাশ পায়। এই সময় মা যে ধরনের বিদ্যাচর্চা করবে, সন্তান সেই ধরনেরই গুণ নিয়ে জন্মাবে।