পিতৃদোষ কাটাবেন কোন কোন উপায়ে? ফাইল চিত্র।
অনেক সময়ে জাতক-জাতিকার জন্মকুণ্ডলীতে পিতৃদোষের উল্লেখ থাকে। কিন্তু এই পিতৃদোষ কী? পূর্বজন্মে পিতার অভিশাপই পিতৃদোষ। আবার পিতৃতুল্য কোনও ব্যক্তির অভিশাপও পিতৃদোষ সৃষ্টি করে। পঞ্চম স্থান সন্তানসুখ সংক্রান্ত ফল দান করে। পিতৃদোষ সাধারণত এই পঞ্চম স্থানেই অশুভ ফল দান করে। সুতরাং পিতৃদোষ প্রধানত সন্তান সংক্রান্ত ক্ষেত্রেই অশুভ ফল দান করে। পিতৃদোষ সন্তান স্থান ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতায় বিঘ্ন ঘটায়।
জন্মকুণ্ডলীর পঞ্চম, দশম স্থানে কোনও পাপ গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করলে পিতৃদোষ হয়।
রবি পিতার কারক সুতরাং রবির সঙ্গে কোনও পাপ গ্রহের সম্পর্ক হলে সেটিও পিতৃ দোষ নির্দেশ করে। এ ছাড়া জাতক-জাতিকার লগ্ন যদি দুর্বল হয়, সে ক্ষেত্রেও পিতৃদোষে অশুভত্ব বৃদ্ধি পায়।
কোন কোন উপায়ে পিতৃদোষ কাটাবেন?
১) তীর্থস্থানে (গয়া, এলাহাবাদ, হরিদ্বার ইত্যাদি) বিশেষত যে স্থানে শ্রাদ্ধকর্ম বিশেষ শুভফল দান করে, সেই স্থানে পিতৃপুরুষ এবং মাতৃ পুরুষের উদ্দেশে শ্রাদ্ধকর্ম করা প্রয়োজন।
২) বিশেষ শুভ অমাবস্যা তিথিতে দান-সহ ব্রাহ্মণভোজন করাতে হবে।
৩) বিবাহ দেওয়া বা বিবাহে অর্থ দান করা।
৪) ব্রাহ্মণকে বা কোনও মন্দিরে শুদ্ধ মনে গো দান করা বা সমপরিমাণ অর্থ দান করা।
৫) পিতা এবং পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া, কর্তব্য পালন করা এবং তাঁদের যথাযত সন্মান করা।
৬) বাড়ির দেওয়ালে বট বা অশ্বত্থ গাছ জন্মালে তা তুলে সযত্নে দেবস্থানে রোপণ করে পরিচর্চা করতে হবে।
৭) বিবাহের ক্ষেত্রে জন্মকুণ্ডলীতে পিতৃদোষ থাকলে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী বিবাহের পূর্বে প্রতিকার করে নেওয়া উচিত।