রাশির সপ্তম স্থানের গোচরকালীন আড়াই বছর কণ্টক শনি নামে পরিচিত।
জন্মরাশির সপ্তমে শনির গোচরকালীন সময়কে কণ্টক শনি বলা হয়। শনির রাশিচক্র পরিভ্রমণ কাল ২৯ বছরের কিছু বেশি, প্রায় ৩০ বছর। অর্থাৎ প্রত্যেক রাশিতে কমবেশি আড়াই বছর (বক্রগতির সময় বাদে)। রাশির সপ্তম স্থানের গোচরকালীন আড়াই বছর কণ্টক শনি নামে পরিচিত।
সপ্তমে অবস্থানের সময় সপ্তম স্থান তো বটেই, নবম, রাশিস্থান এবং চতুর্থ স্থানকেও প্রভাবিত করে বিভিন্ন সুফল ও কুফল দান করে।
সপ্তম স্থানকে প্রভাবিত করার জন্য বিয়ে এবং বিবাহিত জীবনের উপর প্রভাব ফেলে। স্ত্রী এবং স্বামীর (স্বামীর ক্ষেত্রে স্ত্রী, স্ত্রীর ক্ষেত্রে স্বামী) সঙ্গে সম্পর্কের উপর, শরীরের উপর, ব্যবসার উপর প্রভাব দান করে। বিশেষত অংশীদারি ব্যবসা, অংশীদারের সঙ্গে মনোমালিন্য, মতবিরোধ ইত্যাদি। কামনা বাসনা, ভাইপোর সঙ্গে সম্পর্ক ইত্যাদির উপরও প্রভাব ফেলে।
চতুর্থ স্থানের উপর প্রভাব দানের কারণে বাড়ি, জমি সংক্রান্ত বিবাদ, যানবাহন সংক্রান্ত বিভিন্ন ভোগান্তি দান করে। মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে বাধা প্রাপ্তি এবং বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা থাকে। মাতৃসুখ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙংকা বা মায়ের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির আশঙ্কা থাকে।
ভাই এবং বোনের সঙ্গে সুসম্পর্কের অবনতি, মতবিরোধ হতে পারে। চেষ্টায় বাধা প্রাপ্তির আশঙ্কা থাকে। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া বা মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়াও বোঝায়।
রাশির উপর বা প্রথম স্থানের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা, মানসিক সমস্যা, মান সম্মান যশ হানির আশঙ্কা থাকে। ব্যক্তিত্বের উপর কুপ্রভাব পড়তে পারে।
একটা ব্যাপার মাথায় রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। কণ্টক শনির কালে উপরের সমস্ত বিষয় ঘটবে তা কিন্তু না। রাশি লগ্ন ভেদে এবং জন্মগত গ্রহের অবস্থান ভেদে, মহাদশা অন্তর্দশার উপর নির্ভর করে ফলাফলের পরিবর্তন ঘটে।
প্রতিকার– দেবাদিদেব মহাদেবের উপাসনা, দক্ষিণাকালীর উপাসনা, গ্রহরাজের (শনি দেবের) উপাসনা এবং প্রয়োজনে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ।