৭) রাশিচিহ্ন পাখি: যাঁদের ১৯০৯, ১৯২১, ১৯৩৩, ১৯৪৫, ১৯৫৭, ১৯৬৯, ১৯৮১, ১৯৯৩ এবং ২০০৫ সালে জন্ম, তাঁরা সকলেই, তিব্বতীয় জ্যোতিষমতে পাখি রাশি চিহ্নে জন্মেছেন। এঁরা অনেকেই প্রকৃতিগত ভাবে কম-বেশি সাইকিক নেচারের হয়ে থাকেন। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি মনের মতো না হলে মানসিক বৈকল্যের শিকারও হতে পারেন। এঁরা সব সময় নিজের সমস্যার কথাই বলে যান এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজেরাই নিজেদের সব ব্যাপারে দোষী করে থাকেন। ফলে এঁরা সেই অর্থে সুখী হতে পারেন না। এমনিতে এঁরা বিশ্বাসী ও অনুগত মানসিকতার হয়ে থাকেন। কারও বিশ্বাস ভাঙার কথা এঁরা ভাবতেই পারেন না।
৮) রাশিচিহ্ন বানর: যাঁদের ১৮৯৬, ১৯০৮, ১৯২০, ১৯৩২, ১৯৪৪, ১৯৫৬, ১৯৬৮, ১৯৮০, ১৯৯২ এবং ২০০৪ সালে জন্ম, তাঁরা সকলেই তিব্বতীয় জ্যোতিষ মতে বানর রাশি চিহ্নে জন্মেছেন। তিব্বতীয় জ্যোতিষ মতে এই রাশিচিহ্নকে গুপ্তচিহ্ন বলা হয়ে থাকে। ফলে এঁদের বাইরে থেকে বোঝা বেশ কঠিন। এঁরা সমাজের আর সকলের মতো নন। এঁরা এমন কিছু করে থাকেন, যাতে সমাজের প্রভূত উপকার হয়। এঁরা মর্যাদার কাজ করে থাকেন এবং নিজেরাও মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন। মানুষের ভিতর যে অজ্ঞতা আছে, তা এঁরা কিছুতেই সহ্য করতে পারেন না। এঁরা কোলাহলহীন জায়গায় নিজেদের ভালবাসার লোকদের মধ্যেই বাস করেন। এঁদের মন জয় করা প্রায় অসম্ভব।
৯) রাশিচিহ্ন ভেড়া: যাঁদের ১৮৯৫, ১৯০৭, ১৯১৯, ১৯৩১, ১৯৪৩, ১৯৫৫, ১৯৬৭, ১৯৭৯, ১৯৯১ এবং ২০০৩ সালে জন্ম, তাঁরা সকলেই ভেড়া রাশি চিহ্নে বা স্বচ্ছ জল চিহ্নে জন্মেছেন। তিব্বতীয় নিয়মে ভেড়া স্বচ্ছ জলের প্রতীক। তাই এই চিহ্নে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁরা সকলেই কমবেশি শুদ্ধ ও স্বচ্ছ চরিত্রের মানুষ হয়ে থাকেন। এঁরা কারও প্রভাবে পড়ে নিজেদের চরিত্রকে কলুষিত করেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে এঁরা ভীষণ বিশ্বস্ত। প্রকৃতিগত ভাবে শান্ত ও সহজ স্বভাবের মানুষ হয়ে থাকেন। এঁরা সকলেই কল্পনাপ্রবণ ও সৃজনশীল হন। এঁরা অন্যায়-অবিচার সহ্য করেন না।
আরও পড়ুন: মানুষ হিসাবে আপনি কেমন, কী বলছে তিব্বতীয় জ্যোতিষ (প্রথম পর্ব)
১০) রাশিচিহ্ন ঘোড়া: যাঁদের ১৮৯৪, ১৯০৬, ১৯১৮, ১৯৩০, ১৯৪২, ১৯৫৪, ১৯৬৬, ১৯৭৮, ১৯৯০ এবং ২০০২ সালে জন্ম, তাঁরা সকলেই ঘোড়া রাশি চিহ্নে জন্মেছেন। তিব্বতীয় মতে এঁদের অগ্নিরক্ষক বলা হয়ে থাকে। এঁরা দুঃস্থদের সাহায্য করেন, এটাই এঁদের স্বাভাবিক প্রকৃতি। এঁরা যা করবেন বলে ঠিক করেন, তা করে দেখাতে না পারলে নিজেদের দোষী মনে করেন। এঁরা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে থাকলেও নিজেদের একা মনে করেন।
১১) রাশিচক্র সাপ: যাঁদের ১৮৯৩, ১৯০৫, ১৯১৭, ১৯২৯, ১৯৪১, ১৯৬৫, ১৯৭৭, ১৯৮৯ এবং ২০০১ সালে জন্ম, তাঁদের সাপ রাশিচিহ্নে জন্ম বোঝায়। এঁদের ভয়ঙ্কর সম্মোহনী শক্তি আছে। এঁরা মানুষকে কথার দ্বারা বশ করে ফেলেন।এঁরা প্রেমে সাফল্য পেয়ে থাকেন। এঁরা ইন্দ্রিয়াসক্ত, ফলে জগতের সব কিছুকে এঁরা সুন্দরের চোখে দেখে থাকেন। এমনকি, কুৎসিত কোনও কিছুকেও এঁরা সুন্দর বলে মনে করার ক্ষমতা রাখেন। এঁরা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন, আবেগ দিয়ে অন্যকে উদ্দীপ্ত করে তোলেন। তবে মাঝেমাঝে তার বিনিময়ে সুযোগও নিয়ে থাকেন।
১২) রাশিচক্র ড্রাগন: যাঁদের ১৯০৪, ১৯১৬, ১৯২৮, ১৯৪০, ১৯৫২, ১৯৬৪, ১৯৭৬, ১৯৮৮, ২০০০ এবং ২০১২ সালে জন্ম, তাঁদের সকলের তিব্বতীয় রাশি হবে ড্রাগন বা কমেট। নামেই বোঝা যায়, এঁরা বায়বীয় সত্ত্বা। এঁদের ভীষণ সম্মোহনী শক্তি থাকে। সোজা পথে কোনও কিছু না পেলে এঁদের অনেকেই বাঁকা পথে তা পাওয়ার চেষ্টা করেন। এঁদের সকলেই খুব সহজ সরল, তা বলা চলে না। বহু ক্ষেত্রে এঁদের জীবন রহস্যে ঘেরা হয়। কেউ এঁদের চ্যালেঞ্জ করলে এঁরা ভীষণ ভাবে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন।