প্রেম বিবাহ হোক বা সম্বন্ধ করে বিবাহ, বিয়ে মানেই দু’জন ভিন্ন মানুষ এক সঙ্গে জীবন কাটাতে শুরু করেন। এই সম্পর্ক দীর্ঘ দিন বজায় রাখার জন্য একে অপরের প্রতি যেমন ভালবাসা থাকা প্রয়োজন, ঠিক তেমনই প্রয়োজন একে অপরকে বোঝা, সম্মান করা। এই সকল অনুভূতি থাকা অতি আবশ্যক।
আমাদের এখনকার সমাজে ডিভোর্সের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? দু’জন মানুষ বিয়ের সময় যে অঙ্গীকারে বদ্ধ হচ্ছেন, তা টিকিয়ে রাখতে পারছেন না কেন? যাঁকে ছাড়া এক দিনও থাকা যায় না, তিনিই একটা সময় এত অসহ্য হয়ে উঠছেন কেন? এর কারণ কি শুধুই সামাজিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা?
আরও পড়ুন: পরপুরুষে বা পরনারীতে আসক্তি রোখার টিপস (দ্বিতীয় পর্ব)
বাস্তুমতে এর পেছনে অন্য কারণ আছে। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে বেডরুমের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অর্থাৎ বেডরুম যদি ঠিকঠাক না থাকে, তা হলে দু’জনের সম্পর্কে ধীরে ধীরে ফাটল আসতে শুরু করে। সহজ কিছু বাস্তু টিপসের দ্বারা এই সমস্যা এড়ানো যেতে পারে।
• প্রথমেই বলব বেডরুম থেকে ভাঙা খাট ও বিছানার ছেঁড়া চাদর দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
• দম্পতির বিছানা সব সময় উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখতে হবে। পূর্ব দিকেও রাখা যেতে পারে। এতে ঘরে পজিটিভ এনার্জি ভরে থাকে।
• দম্পতির ঘরে টিভি, কম্পিউটার বা যে কোনও ইলেকট্রনিক্স জিনিস যেন না রাখা হয়। এতে ঘরে নেগেটিভ ভাইব্রেশন বেড়ে যায়।
• দম্পতিকে সব সময় একই বিছানায় শুতে হবে। দুটো গদি এক করে বিছানা বানানো মঙ্গলজনক নয়।
• মনে রাখতে হবে, খাটের মুখ যেন দরজার সোজাসুজি না থাকে।
• দম্পতির বিছানার গদির নীচে ময়ূরের এক জোড়া পালক রাখা খুব শুভ ফল প্রদান করে।
• ঠাকুর দেবতার প্রতি যতই আকৃষ্ট হন না কেন, বেডরুমে ঠাকুর বা গুরুজনদের ছবি রাখা যাবে না।
• দম্পতির বিবাহিত জীবনের ছবি রাখা খুব ভাল বলে মনে করা হয়।