বেদ অনুযায়ী শঙ্খধ্বনি যত দূর পৌঁছয় সেই পর্যন্ত কোনও অশুভ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
শঙ্খ
শঙ্খ বাজানোর পিছনে হিন্দুদের সম্পূর্ণ ধার্মিক আস্থা রয়েছে। বেদ অনুযায়ী শঙ্খধ্বনি যত দূর পৌঁছয় সেই পর্যন্ত কোনও অশুভ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। পুজোতে শঙ্খ বাজানোর তাৎপর্য হল, যে দেবতার পুজো তার জয়ধ্বনি করা। মনে করা হয় যে বাড়িতে প্রতি দিন শঙ্খ বাজানো হয় সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মীর সদা বসবাস থাকে। প্রতি দিন সকাল এবং সন্ধ্যা বেলা শঙ্খ বাজানো অত্যন্ত মঙ্গলজনক। হিন্দুদের যে কোনও শুভ কাজ করার আগে শঙ্খ বাজানো অতি আবশ্যক।
স্বস্তিক চিহ্ন
স্বস্তিক চিহ্ন কেবল হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত নয়। অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও একে প্রবিত্র মনে করে। গণেশ অগ্রপূজ্য দেব। স্বস্তিক চিহ্ন শ্রী গণেশের সাকার বিগ্রহের স্বরূপ। স্বস্তিকের চারটি ভূজা শ্রী বিষ্ণুর ৪ হাত। স্বস্তিক চার দিকে বা চার দিশায় শুভ সঙ্কেত দেয়। স্বস্তিক ‘শ্রী’-র লক্ষ্মী প্রতিক।
ভগবান বিষ্ণু এবং ধন সম্পত্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর প্রতিক স্বস্তিক। পুজোপাঠ বা অন্যান্য শুভ কাজের সময়ে পুরোহিতরা শুভ প্রাপ্তির জন্য ‘স্বস্তিকাবন’ করেন। যে কোনও পুজোর সময় ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয় এবং গৃহপ্রবেশ করার সময় প্রধান দরজার ওপরে অবশ্যই স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন করতে হবে। এর ফলে বাড়িতে কোনও অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। এ ছাড়া প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বস্তিক চিহ্ন দর্শন এবং প্রণাম করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।