মুনি-ঋষিরা দেখিয়ে গিয়েছেন, তন্ত্রমন্ত্র সাধনা করার জন্য রুদ্রাক্ষ বিশেষ উপকারী ও প্রভাবশালী। সকলেই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। এই অমিতবিক্রমী ফল মানুষের ভাগ্যকে যে শুধু উজ্জ্বল করে তা-ই নয়, সব ধরনের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে। রুদ্রাক্ষ মস্তিষ্ক ও হৃদয়ে শক্তি দেয়। আবার রক্তপ্রবাহ ঠিক রেখে স্নায়ুকে স্নিগ্ধতা দেয়। জীবনের শান্তি ও আত্মশক্তিকে বাড়িয়ে তোলে। আধুনিক যুগে কিছু বিজ্ঞানীও রুদ্রাক্ষের গুণ উপলব্ধি করেছেন। তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, এর মধ্যে অদ্ভুত চৌম্বক শক্তি আছে যা মানবশরীরের বিশেষ কিছু ব্যথা-বেদনা, উত্তেজনা, নিদ্রাহীনতা, রক্তচাপ, বাত, দুঃস্বপ্ন থেকে উপশম দিতে পারে। এ ছাড়া রুদ্রাক্ষ ধারণে মানসিক ব্যধি, ভূত-প্রেত সংক্রান্ত নানা সমস্যায় সুফল পাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন জীবিকা অনুযায়ী রুদ্রাক্ষ ধারণেও কিছু লাভ হয়ে থাকে।
এখন দেখে নেওয়া যাক জীবিকা অনুযায়ী কার কত মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত:
১। প্রশাসনিক: ত্রয়োদশমুখী ও একমুখী।
২। কোষাধ্যক্ষ: অষ্টমুখী ও দ্বাদশমুখী।
৩। বিচারক: চতুর্দশমুখী ও দ্বিমুখী।
৪। পুলিশ/সেনা: নবমমুখী ও চতুর্থমুখী।
৫। ব্যাঙ্ক কর্মচারী: একাদশমুখী ও চতুর্থমুখী।
আরও পড়ুন: আপনার রাশিচক্রে ‘কেন্দ্রদ্রুম’ যোগ নেই তো? এই অশুভ যোগ থাকলে কী হয় জানেন?
৬। চিকিত্সক: নবমমুখী ও একাদশমুখী।
৭। নার্স, কেমিস্ট, কম্পাউন্ডার: চতুর্মুখী ও ত্রিমুখী।
৮। নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ: চতুর্দশমুখী ও একমুখী।
৯। অধ্যাপক ও ধর্মপ্রচারক: চতুর্দশমুখী ও ষষ্ঠমুখী।
১০। লেখক, ক্লার্ক, টাইপিস্ট, স্টেনোগ্রাফার: একাদশমুখী ও অষ্টমুখী।
১১। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র: দশমুখী ও একাদশমুখী।
১২। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার: অষ্টমুখী ও চতুর্দশমুখী।
১৩। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র: সপ্তমুখী ও একাদশমুখী।
১৪। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র: চতুর্দশমুখী ও গৌরীশঙ্কর।
১৫। পাইলট ও বায়ুসেনা: দশমুখী ও একাদশমুখী।
১৬। জলযান চালক: দ্বাদশমুখী ও অষ্টমুখী।
১৭। রেল, বাস, গাড়িচালক: দশমুখী ও সপ্তমুখী।
১৮। দোকানদার: চতুর্দশমুখী ও ত্রয়োদশমুখী।
১৯। শিল্পপতি: চতুর্দশমুখী ও দ্বাদশমুখী।
২০। কবি, সঙ্গীতকার: ত্রয়োদশমুখী ও নবমমুখী।
২১। সার্জন: চতুর্দশমুখী ও চতুর্মুখী।
২২। হোটেল মালিক: চতুর্দশমুখী, একমুখী ও ত্রয়োদশমুখী।
২৩। ঠিকাদার: চতুর্দশমুখী, ত্রয়োদশমুখী ও একাদশমুখী।