কথায় বলে মানুষের জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে— এই তিনটি ঘটনা ঈশ্বরের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। সঠিক সময় বা কখন, কোথায়, কী ঘটবে তা সব কিছুই ঈশ্বর নির্দিষ্ট। অর্থাৎ পূর্ব জন্মের কর্মফলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মানুষের দুর্ঘটনা কখন, কোথায় ঘটবে তা বলা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু জন্মছকে গ্রহের অবস্থান দেখে কিছুটা হলেও দুর্ঘটনার পূর্বাভাস দেওয়া যেতে পারে।
ভারতীয় জ্যোতিষ মতে অর্থাৎ জন্মছকে কেতুর দশা-অন্তর্দশা দেখে দুর্ঘটনার আগাম আভাস পাওয়া সম্ভব হয়। মঙ্গল এবং কেতুর অবস্থান থেকে দুর্ঘটনায় মৃত্যু আছে কি না তাও বলা যায়। যে কোনও দুর্ঘটনাই আমাদের জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে। দুর্ঘটনা অনেক রকম ভাবে হতে পারে, যেমন আকস্মিক দুর্ঘটনা, কারও ষড়যন্ত্রে দুর্ঘটনা, হঠাত্ বড় কোনও রোগ, তীর্থে গিয়ে দুর্ঘটনা, ইত্যাদি নানান রকম দিক থেকে দুর্ঘটনা আসতে পারে। এ সব দুর্ঘটনার প্রভাব একটু হলেও কাটানো যেতে পারে সহজ কিছু উপায়ের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: চিনা জ্যোতিষে চুল নিয়ে স্বপ্ন দেখলে কী কী ঘটতে পারে
দেখে নেওয়া যাক উপায়গুলি কী কী:
১) বাড়িতে বাস্তু দোষ আছে কি না তা জেনে নিন। থাকলে খুব দ্রুত প্রতিকার করুন।
২) ভারতীয় মত অনুযায়ী, মহা মৃত্যুঞ্জয় কবচ ধারণ করুন।
৩) স্নানের সময় নাভিতে ও বুড়ো আঙুলের নখে অবশ্যই সর্ষের তেল লাগান। এতে অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা দূর হবে।
৪) কেতু, মঙ্গল ও রাহু যদি খারাপ থাকে, তা হলে সময় থাকতে প্রতিকার করুন, একদম দেরি করবেন না।
৫) বাড়িতে অশুভ শক্তি আটকাতে, বাড়ির প্রবেশ দ্বারের ওপর হনুমানজির মূর্তি স্থাপন করুন।
৬) প্রত্যেক মঙ্গল ও শনিবার হনুমানজিকে লাড্ডু ও মেটে সিঁদুর দিয়ে আয়ু ও দীর্ঘ জীবন কামনা করুন।
৭) সন্তানের ফাঁড়া থাকলে মা-বাবা, স্বামীর ফাঁড়া থাকলে স্ত্রী কায়মনোবাক্যে এবং বিধিমতে শিবের পূজা করুন।