আগেও বলা হয়েছে বাস্তুশাস্ত্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল রান্নাঘর। বাড়ির রান্নাঘর যদি সঠিক দিকে না থাকে, তা হলে জীবনে নানা বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। রান্নাঘর বাড়ির সঠিক দিক, অর্থাৎ দক্ষিণ-পূর্ব (অগ্নিকোণে) হওয়াই শ্রেয়। বাড়ির ঈশান কোণে কখনও রান্নাঘর রাখতে নেই। এতে বাড়ির পরিবেশ কখনও সুখের হয় না।
দেখে নেওয়া যাক রান্নাঘরে কোন কোন জিনিস ঠিক ভাবে না রাখলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে:
• রান্নাঘরে কখনও নানা রকমের মশলার কৌটো রাখবেন না, মশলার সব কৌটো যেন একই রকম হয়। যদি কোনও কৌটোর ঢাকনা ফেটে যায়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে সেই কৌটো বাতিল করতে হবে।
• রান্নাঘরে গ্যাস স্টোভ থেকে বেসিনের দূরত্ব যেন এক থেকে দেড় মিনিটের হয়। গ্যাসস্টোভের সামনে কখনও বেসিন রাখতে নেই বা বাসনপত্র ধোয়ার জায়গা করতে নেই। সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে তা করা উচিত।
আরও পড়ুন: শুভ বিবাহিত জীবনের গোপন কথা
• রান্নাঘরে যদি কোনও কাচের জিনিস, কাপ বা আরও অন্যান্য কোনও বাসন ফাটা বা ভাঙা থাকে, তা হলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিতে হবে। কারণ এর ফলে পরিবারের সকলের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরতে পারে।
• রান্না করার সময় খাবার টেস্ট করে দেখা অনেকেরই স্বভাব থাকে। কিন্তু কখনও এটা করতে নেই, রান্না করতে করতে টেস্ট করা বা সব্জি কাটার সময় সেটা মুখে দেওয়া ভীষণ ভাবে বাস্তুশাস্ত্র বিরুদ্ধ কাজ। কারণ রান্না করা জিনিস হচ্ছে প্রসাদের মতো। তাই কখনওই তা আগে টেস্ট করে দেখা উচিত নয়।
• রান্নাঘরে কখনও ঝাড়ু রাখতে নেই। ঝাড়ু সব সময় রান্নাঘরের বাইরে রাখতে হয়।
• রান্নাঘরে যে কোনও কাজ যেমন রুটি বেলা, মশলা বাটা যা-ই হোক এই জাতীয় কাজ করার সময় যেন তা থেকে কোন রকম শব্দ না হয়। এটিও খুব বাস্তুশাস্ত্র বিরুদ্ধ কাজ।
• রান্না করতে করতে কখনও খারাপ কোনও চিন্তা ভাবনা করতে নেই। সব সময় পজেটিভ চিন্তার সঙ্গে রান্না করতে হয়। তা হলে পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যের পক্ষে সেটা খুব ভাল প্রমাণিত হয়। এবং সকলের জীবনের উন্নতির পথও প্রসারিত হয়।