শনির সাড়েসাতির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয় সাড়েসাতি শুরু হওয়ার ২ বৎসর ৬ মাস পরে। অর্থাৎ শনিদেব চন্দ্রলগ্নে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে, চলতে থাকে ২ বছর ৬ মাস অর্থাৎ শনির সাড়েসাতি শুরুর থেকে ৫ বছর কাল দ্বিতীয় পর্যায়।
সাড়েসাতির দ্বিতীয় পর্যায়ে সরাসরি প্রভাব চন্দ্র রাশির উপর এবং বিশেষ দৃষ্টি দ্বারা প্রভাবিত করে তৃতীয়, সপ্তম এবং দশম রাশিকে (ভাবকে)।
শনির তৃতীয় দৃষ্টি দ্বারা তৃতীয় ভাবকে প্রভাবিত করে। তৃতীয় ভাব পরাক্রম, সাহস, ছোট ভাই বা বোন, পাড়াপড়শি ইত্যাদি নির্দেশ করে অর্থাৎ ওই সব বিষয়ের উপর প্রভাব ফেলে।
শনির সপ্তম দৃষ্টি দ্বারা সপ্তম ভাবকে প্রভাবিত করে। সপ্তম ভাব দাম্পত্য জীবন, স্ত্রী বা স্বামী, ব্যবসা বা কর্মের সঙ্গী, বিবাহ, দাম্পত্য সুখ, কামনা বাসনার নির্দেশ করে অর্থাৎ ওই সব বিষয়ের উপর প্রভাব ফেলে।
শনির দশম দৃষ্টি দ্বারা দশম ভাবকে প্রভাবিত করে। দশম ভাব কর্ম, মর্যাদা, পেশা, উচ্চাভিলাষ এবং পিতা ইত্যাদিকে নির্দেশ করে অর্থাৎ ওই সব বিষয়ের উপর প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: শনির সাড়েসাতি কি শুধুই ভয়ঙ্কর বা অশুভ ফল প্রদান করে?
তৃতীয় পর্যায় শুরু হয় চন্দ্র রাশির দ্বিতীয়ে শনির গমনের সঙ্গে সঙ্গে। সময়কাল শেষ দুই বছর ছয় মাস অর্থাৎ সাড়েসাতি শুরুর পাঁচ বছর থেকে সাড়ে সাত বছর।
সরাসরি দ্বিতীয় রাশির উপর প্রভাব ফেলে, সঙ্গে তৃতীয় দৃষ্টি চতুর্থ রাশিকে প্রভাবিত করে। চতুর্থ ভাব যা ভুমি, ভবন এবং যানবাহন, পারিবারিক সুখ, স্থাবর সম্পত্তি এবং মানসিক শান্তি ইত্যাদিও নির্দেশ করে।
সপ্তম দৃষ্টি অষ্টম রাশিকে প্রভাবিত করে। অষ্টম ভাব আয়ু, স্ত্রীর মঙ্গল, গুপ্ত জ্ঞান ইত্যাদি নির্দেশ করে।
দশম দৃষ্টি একাদশ রাশিকে প্রভাবিত করে। একাদশ ভাব আয় ক্ষেত্র অর্থাৎ আয়, লাভ, আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ নির্দেশ করে।
সাড়ে সাত বছর কালে নিজের অবস্থান ক্ষেত্র ছাড়াও তিনটি রাশিকে প্রভাবিত করে। প্রভাব ফেলার অর্থ যে সর্বদা কুপ্রভাব, তা কিন্তু নয়। সুপ্রভাব বা কুপ্রভাব তা বেশ কিছু শর্তের ওপর নির্ভরশীল, যেমন— জন্ম লগ্ন, জন্ম নক্ষত্র এবং জন্মকালীন কুণ্ডলীতে শনি গ্রহের অবস্থানের উপর। এছাড়াও সাড়েসাতি চলাকালীন কোন গ্রহের দশা এবং অন্তর্দশা চলছে তার উপর। শনির সাড়েসাতিতে দেখা গেছে অনেকের প্রভূত ক্ষতি, অর্থনাশ ইত্যাদি ঘটছে আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে সফলতার শিখরে পৌঁছতে।