প্রত্যেক মানুষের জীবনে জন্মতারিখ, রাশি, লগ্ন যেমন তাঁর বিবাহিত জীবনকে প্রভাবিত করে, তেমনই তাঁর জীবনে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে তাঁর বিবাহের মাসের বা তারিখের। এখানে আমরা আলোচনা করব বিভিন্ন মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বিয়ে দাম্পত্য জীবনে কতটা প্রভাব ফেলে:
আপনার বিয়ে ২১ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে হলে: এই সময়ে যাঁরা বিয়ে করেছেন, দাম্পত্য জীবনকে সুখের ও মধুর রাখতে তাঁদের উচিত জীবনকে গতিময় রাখা। মনে রাখতে হবে, বোরিং জীবন আপনাদের বিবাহিত জীবনের উপর নঙর্থক প্রভাব ফেলবে। আপনাদের দাম্পত্য জীবনে খাওয়াদাওয়া, পোশাক পরিচ্ছদ পরা, বাড়ির পরিবেশে নিত্যনতুন পরিবর্তন দাম্পত্য জীবনের সুখকে বর্ধিত করবে। দাম্পত্য সুখ বাড়াতে নিজেদের মধ্যে নানা ঘরোয়া খেলাধূলা করতে পারেন, ওয়ার্ল্ড কাপ সিরিজ দেখতে পারেন। খাওয়ার মেনু পাল্টাতে পারেন। অজানা স্থানে ছোটখাটো ভ্রমণে বেরিয়ে পড়তে পারেন। তবে, নিজেদের মধ্যে অহেতুক কথা কাটাকাটি করা বা প্রতিযোগিতার মধ্যে যাওয়া একদমই করবেন না। আপনাদের বিবাহিত জীবনে ধস নামতে পারে।
২০ এপ্রিল থেকে ২০ মে-র মধ্যে আপনার বিয়ে হলে: এই মাসের সঙ্গে কাম, যৌনতা, বিলাসব্যসন, উপঢৌকন, অর্থসম্পদ, ভূমি, জমির বাড়ি ও ব্যাঙ্ক ব্যালান্সের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই মাসটার সঙ্গে ‘অ্যাফ্ল্যুয়েন্স’ বা ‘অ্যাবান্ড্যান্স’-এর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তাই এই মাসে যাঁরা বিয়ে করছেন, চেষ্টা করবেন স্বামী বা স্ত্রী পরস্পরকে দামি উপঢৌকন দিতে, খুব নামজাদা হোটেল বা রেস্তরাঁয় গিয়ে খাবারের জন্য খরচ করবেন। মনে রাখবেন, যত খরচ করবেন তত দাম্পত্য সুখ বাড়তে থাকবে। খরচের সঙ্গে যদি কোথাও দাম্পত্য সুখ বর্ধিত হওয়ার সম্পর্ক থাকে সেটা বারোটা রাশিচক্রের এই সময়ে। এই সময়ের সঙ্গে বিছানা-সুখ বা কামের মাধ্যমে সুখভোগের প্রবল ও নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের এই তিন দিন যৌনমিলন না করাই ভাল
২১ মে থেকে ২০ জুনের মধ্যে বিয়ে হলে: আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে ‘টকেটিভ ম্যারেজ’ বলতে পারি। আপনাদের বিয়ে টিকিয়ে রাখতে হলে পরস্পরের সঙ্গে নিরন্তর কথা বলবেন, গল্প করবেন, এক সঙ্গে বসে টিভি দেখবেন, গান শুনবেন, মজা করবেন, নানা রকম ফান লাভিং খেলা খেলবেন, নানা খবর বা ইনফরমেশন পরস্পরকে জানাবেন, সব সময় আপনার চারপাশের লোকদের সঙ্গে কমিউনিকেট করবেন। এতেই আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ক টিকে যাবে। যে কোনও উপলক্ষ্যে ছোটখাটো ভ্রমণেও যাবেন।
যদি আপনার বিয়ে ২১ জুন থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে হয়: এই সময়ের সঙ্গে ঘরবাড়ি, মা, মানুষ ও মাটির বিশেষ যোগ রয়েছে। এই সময়ে যাঁরা বিয়ে করেন দাম্পত্য সুখ বাড়াতে তাঁদের বেশি করে সামাজিক আদানপ্রদান বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এই সময়ে বিয়ে হলে বাড়ির গুরুজনেরা নবদম্পতির উপর বিনা কারণে নানা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে থাকেন যা দাম্পত্য সম্পর্ককে বিষময় করে তোলে। এই সমস্যা এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এই সময়ে বিয়ে হলে দম্পতির মধ্যে প্রবল ঘরকুনো ভাব তৈরি হয়। বয়স বাড়তে থাকলে এই ভাব আরও বাড়তে থাকে। অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রী নানা রকম কাজে সময় দিয়ে দাম্পত্য জীবনকে অবহেলা করে থাকেন।