প্রতীকী চিত্র।
প্রধান দরজা বাড়ির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়িতে কর্মশক্তি প্রবেশ করে প্রধান দরজার মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে জানলা কিছুটা হলেও গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ির প্রধান দরজার সম্মুখভাগ যদি বাধাহীন না হয়, অর্থাৎ কোনও দেওয়াল, গাছ, ইলেকট্রিক পোস্ট ইত্যাদি তা থাকে, তা হলে বাড়িতে কর্মশক্তি প্রবেশে বাধার সৃষ্টি হয়।
অনেক সময় প্রধান দরজা সুন্দর করে সাজাতে গিয়ে সেখান দিয়ে কর্মশক্তি প্রবেশে বাধা দিয়ে ফেলি। এটা বাড়ির পক্ষে ক্ষতিকারক। প্রধান দরজার সম্মুখে গর্ত, নর্দমাও কিন্তু কর্মশক্তি প্রবেশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। বাড়িতে ধনাত্মক শক্তি বা ধনাত্মক কর্মশক্তি প্রবেশে বাধার সৃষ্টি হলে বাড়ির সদস্যদের মানসিক উদ্বিগ্নতা, অশান্তি এবং কর্মশক্তিহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বাড়ির সদস্যদের উন্নতির পথে বাধার সৃষ্টি করে। বিশেষ প্রভাব ফেলে গৃহকর্তার উপর।
বাড়ির প্রধান দরজা জানলা খোলা রাখার আরও একটি কারণ সূর্যের আলো প্রবেশ। সূর্য হল আলোর প্রধান উৎস। বাস্তুশাস্ত্র মতে যে বাড়িতে সূর্যালোক প্রবেশ করে না সেই বাড়ি বাস্তু দোষযুক্ত। এ ক্ষেত্রে অবশ্য সূর্যোদয় থেকে দুপুরের মধ্যের আলোকে (কমবেশি দুপুর ১২টা) বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়।
সূর্য যত পশ্চিম আকাশের দিকে ঢলে পড়ে সূর্যের আলোকে কর্মশক্তির (পজিটিভ এনার্জির) পরিমাণ ততই কম বলে মনে করা হয়। এই হিসাবে দিনের প্রথম ভাগের সূর্যালোক বাড়ি আলোকিত করলে বাড়িতে কর্মশক্তি পূর্ণ হয় উঠে। বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়িতে স্বস্তিক চিহ্নের ব্যবহার শুভ ফল দায়ী। প্রধান দরজায় স্ফটিক এবং লাল ফিতের সঠিক ব্যবহার শুভ ফল দান করে।