ভাগ্যরেখা হস্তরেখা বিচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেখা। ভাগ্যের আনুকূল্য ছাড়া সাফল্য কষ্টকর। কথায় আছে, ভাগ্য অনুকূল হলে মাটি ধরলে সোনা হয়। আর প্রতিকূল হলে সোনা ধরলেও তা মাটি হয়ে যায়। এই কথা থেকেই ভাগ্যের আনুকূল্যের গুরুত্ব বোঝা যায়।
ভাগ্যরেখা যেখান থেকেই শুরু হোক, সাধারণত শনির ক্ষেত্রগামী হয় বা শনির ক্ষেত্রে গিয়ে শেষ হয়। এই কারণে চলতি কথায় একে শনির রেখাও বলা হয়।
ভাগ্যরেখা না থাকা বা দুর্বল ভাগ্যরেখার অর্থ যে ভাগ্যহীন, তা কিন্তু নয়। অনেক প্রতিষ্ঠিত জাতকের হাতে অস্পষ্ট ভাগ্যরেখা বা ভাগ্যরেখার অস্তিত্বই নেই, এমনও দেখা যায়। এই রকম ভাগ্যরেখার অর্থ, ভাগ্য প্রতিকূল তা কিন্ত নয় এর অর্থ নিজের চেষ্টায় সাফল্য। এই জাতক সাধারণত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সক্রিয় সাহায্য থেকে বঞ্চিত হন। অর্থাৎ জাতকের উন্নতি বা প্রতিষ্ঠা নিজের চেষ্টা বা পরিশ্রমেরই ফল।
আরও পড়ুন: সুগঠিত শিররেখা মানেই কি বুদ্ধিমান? জেনে নিন
ভাগ্য রেখা থেকে আকাঙ্ক্ষা, উত্থান, সম্পদ, সম্মান বিশ্লেষণ করা হয়। এ ছাড়াও উদ্বেগ, সঙ্কট, সাফল্যও ভাগ্যরেখা থেকে বিশ্লেষণ করা হয়। ভাগ্যরেখার উৎপত্তি যেখানেই হোক, তা স্পষ্ট হয়ে শনির ক্ষেত্রে সমাপ্ত হওয়ার অর্থ শক্তিশালী এবং উৎকৃষ্ট ভাগ্যরেখা।
ভাগ্যরেখা মণিবন্ধের উপর থেকে সৃষ্টি হয়ে শনির ক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার অর্থ উত্তম বা উৎকৃষ্ট ভাগ্যরেখা। এই রকম ভাগ্যরেখাকে শুভ মনে করা হয়। এই জাতক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন ভাবে সম্পদ, সম্পত্তি, মানসম্মান প্রাপ্ত হন। চন্দ্রের ক্ষেত্র বা চন্দ্রের চূড়া থেকে সৃষ্টি হয়ে শনির ক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত হলে ভাগ্যরেখাকে শুভ মনে করা হয়। এই জাতক অমূল্য সম্পত্তির অধিকারী হন এবং প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছতে পারেন। এই রেখা দ্বিবিভক্ত হলে তা জাতকের একাধিক আয়ের উৎস নির্দেশ করে।