প্রতীকী চিত্র।
স্বামী-স্ত্রীর প্রীতি বা সুসম্পর্কের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। স্বামী-স্ত্রীর প্রকৃতির যতই মিল বা অন্যান্য বিষয়ে যতই মিল থাক বা মঙ্গলজনক হোক না কেন, যৌন সম্বন্ধ প্রীতিকর না হলে সম্পর্ক প্রগাঢ় হয় না। দাম্পত্য জীবনে, মানসিক এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা আসতে পারে। যৌন সম্পর্ক প্রগাঢ় না হলে সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অবশ্য সুপ্রজননে কেবলমাত্র প্রীতিকর যৌন সম্বন্ধই যথেষ্ট নয়, আরও অন্য বিষয় দেখা দরকার।
গ্রহের কেমন অবস্থানে প্রীতিকর যৌন সম্পর্ক সৃষ্টি হয়?
সম্পর্ক প্রীতিকর হবে কি না তা দেখার জন্য প্রথমেই উভয়ের জন্মছকের মঙ্গল এবং শুক্রের অবস্থান দেখা প্রয়োজন। এক জনের শুক্র যদি অন্যের মঙ্গলের সঙ্গে শুভ সম্পর্ক করে, সে ক্ষেত্রে শুভ। এক জনের মঙ্গল অপরের মঙ্গলের সঙ্গে ক্ষেত্র বিনিময় বা ত্রিকোণ সম্বন্ধ করে সে ক্ষেত্রে শুভ (৫, ৯ স্থান ত্রিকোণ)। এক জনের মঙ্গল অন্যের মঙ্গলের সঙ্গে পীড়িত হলে অশুভ। এক জনের শুক্রের সঙ্গে অন্যের মঙ্গলের শুভ সম্পর্ক শুভ ফল দেয়। এক জনের শুক্র অন্যের মঙ্গলের সঙ্গে সহাবস্থানে আকর্ষণ বেশি হয় (অবশ্য অতিরিক্ত আকর্ষণ সামঞ্জস্যের অভাব ঘটাতে পারে)।
পরস্পরের শুক্র এবং মঙ্গলের সম্বন্ধ না থাকলে চন্দ্র এবং মঙ্গলের সম্পর্ক দেখা আবশ্যক। চন্দ্র এবং মঙ্গলের সম্পর্ক শুক্র মঙ্গলের ন্যায় ফল দান করতে পারে।
স্বামীর কোষ্ঠীর শুক্র বা চন্দ্র যদি স্ত্রীর কোষ্ঠীর গ্রহ দ্বারা পীড়িত হয়, বিশেষত মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনির দ্বারা, সে ক্ষেত্রে সম্পর্ক শুভ হয় না।
স্ত্রীর কোষ্ঠীর মঙ্গল বা চন্দ্র স্বামীর কোষ্ঠীর মঙ্গল, বৃহস্পতি শনি দ্বারা পীড়িত হলে সম্পর্ক শুভ হয় না।
এক জনের সপ্তম ও অষ্টম ভাব যদি অপরের কোষ্ঠীর মঙ্গল, শনি, কেতু দ্বারা পীড়িত হয়, তা হলে বাধা বিপত্তির সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে গণনা খুবই সূক্ষ্ম, প্রয়োজনে বিবাহের পূর্বে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শে দাম্পত্য জীবন সুখী হবে।