—প্রতীকী ছবি।
গ্রহের রাশি পরিবর্তন হল প্রকৃতির নিয়ম। প্রাকৃতিক ভাবেই মহাকাশে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন অনবরত চলছে। এর প্রভাবে পৃথিবীতেও কোনও না কোনও পরিবর্তন ঘটে চলেছে অবিরত। কোনও পরিবর্তন কম প্রভাব ফেললেও, কোনও পরিবর্তন বহু দিনের জন্য প্রভাব ফেলে। তেমনই এক দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন ঘটতে চলেছে আগামী ২৯ মার্চ। শনি তার রাশি পরিবর্তন করবে। কিন্তু কেন শনির রাশি পরিবর্তনের এত প্রভাব? কী হয় এর ফলে?
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সাধারণ ন’টি গ্রহের মধ্যে সর্বাধিক ধীরগতিসম্পন্ন গ্রহ হল শনি। জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহদের দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়— ধীরগতি গ্রহ এবং দ্রুতগতি গ্রহ। ধীরগতিসম্পন্ন গ্রহ বেশি সময় এক রাশিতে অবস্থান করার কারণে শুভ বা অশুভ, উভয় ফলের প্রভাবই বেশি দিন ধরে থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে শনি হল কর্মফলদাতা গ্রহ। শনি কর্মের কারক এবং ন্যায়বিচারক গ্রহ। ন্যায়বিচার বলতে বলা যেতে পারে, শনি গ্রহের প্রভাবে কাজ অনুযায়ী শুভ বা অশুভ ফল প্রাপ্ত হয়। কর্মের কারক হওয়ার কারণে যে কোনও প্রকার কর্মের উপর শনি প্রভাব দান করে।
আগামী ২৯ মার্চ ২০২৫, ভারতীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে শনি কুম্ভ রাশি থেকে মীন রাশিতে গমন করবে এবং ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৮ পর্যন্ত মীন রাশিতেই অবস্থান করবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৮, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে শনি পরবর্তী মেষ রাশিতে গমন করবে।
শনির রাশি পরিবর্তনের ফল কী হতে পারে?
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে শনি গ্রহের সপ্তম দৃষ্টি ছাড়াও তৃতীয় এবং দশম দৃষ্টি দানের বিশেষ ক্ষমতা আছে। বিশেষ দৃষ্টির কারণে মীন রাশি ছাড়াও বৃষ, কন্যা এবং ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা শনির রাশি পরিবর্তনের কারণে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত হবে এবং সিংহ, মিথুন, ধনু ও মীন রাশির কর্মক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব পড়বে।
শনির রাশি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মেষ রাশির সাড়েসাতি শুরু হবে। মীন রাশির সাড়েসাতির প্রথম পরাজয় শেষ হয়ে দ্বিতীয় পরাজয় শুরু হবে এবং মকর রাশির সাড়েসাতি শেষ হবে।
কর্মক্ষেত্রে প্রভাব বা সাড়েসাতি মানেই যে খারাপ তা কিন্তু না। শুভ বা অশুভ ফলপ্রাপ্তি নির্ভর করবে মহাদশা, অন্তঃদশা এবং জন্মছকে বিভিন্ন গ্রহের অবস্থানের উপর। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে বা সাড়েসাতি শুনেই অহেতুক ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে শনির প্রভাব বা সাড়েসাতি কালে সেই রাশির জাতক-জাতিকারা চূড়ান্ত সফলতা লাভ করেছে।