Nabanna

রাজ্যের প্রতি জেলায় ভার্চুয়াল কক্ষ, আদালতে প্রশাসনিক কর্তাদের সশরীরে হাজিরা কম করতে নবান্নের নয়া পদক্ষেপ

এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক আগেও হত। করোনার পরে তা আরও বেড়েছে। আদালতও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করার কথা বলেছে। স্থায়ী পরিকাঠামো থাকলে সুবিধা। তাই ওই পদক্ষেপ।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ২২:২৫
Share:
A photograph of Nabanna

ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে জেলায় জেলায় ভিডিয়ো কনফারেন্স কক্ষ খুলল নবান্ন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতির উপর জোর দিল নবান্ন। রাজ্যের বিভিন্ন দফতর এবং জেলায় জেলায় ভার্চুয়াল কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারেরা যোগ দিতে পারবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমের নানা কাজে। সম্প্রতি এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে নবান্ন। সেখানে কোন জেলায়, কোথায়, কত ভিডিয়ো কনফারেন্স কক্ষ রয়েছে তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ দফতর, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পুরসভা মিলিয়ে রাজ্য জুড়ে এমন ৩৯২টি ভিডিয়ো কনফারেন্স কক্ষ তৈরির কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

গত বছর রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বন্দি কয়েদিদের দেখভালের জন্য ‘জেলা কমিটি’ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই কমিটিতে রাখা হয় জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকদের। অভিযোগ, অনেক সময় কমিটির বৈঠকে হাজির থাকেন না উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। পরিবর্তে তাঁরা অধস্তন আধিকারিকদের উপর ওই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। কারণ হিসাবে জানানো হয়, নানা কাজে ব্যস্ত ওই আধিকারিকেরা কমিটির বৈঠকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। হাই কোর্ট জানায়, সশরীরে না হলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থাকতেই হবে আধিকারিকদের। কোনও ভাবেই নিজের দায়িত্ব অন্য কারও উপর ছেড়ে দিতে পারবেন না তাঁরা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অধস্তন আধিকারিকেরা কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ফলে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয় না। হাই কোর্টের ওই নির্দেশের পরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলবন্দিদের বিষয়টি নিয়ে জেলা কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত হন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।

নবান্নের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক আগেও হত। করোনাকালের পর থেকে তা আরও বেড়েছে। আদালতও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করার কথা বলেছে। এই অবস্থায় স্থায়ী পরিকাঠামো থাকলে সুবিধা। আমলা বা পুলিশ অফিসারদের অনেক বৈঠকের ক্ষেত্রে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হয়। যাতায়াতে সময় অপচয় হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই বৈঠক করা গেলে ওই সমস্যা দূর হবে।’’ ওই আধিকারিক জানান, এই ভিডিয়ো কনফারেন্স কক্ষ থেকে বৈঠকের পাশপাশি আদালতের কাজেও অংশ নেওয়া যাবে। তিনি জানান, অনেক সময় বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের তলব করে আদালত। সশরীরে উপস্থিত না হয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্স কক্ষ থেকে তাঁরা হাজিরা দিতে পারবেন। নিয়ম মেনে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে অংশ নেওয়া যাবে আদালতের বিচার প্রক্রিয়াতেও। তাই স্থায়ী ভার্চুয়াল কক্ষ তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement