শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম ধারণকারী শ্রীবিষ্ণুর অন্যতম অস্ত্র হল শাঁখ। শঙ্খের ধ্বনির দ্বারাই বারবার অশুভ শক্তির বিনাশ করেছেন তিনি। তাই হিন্দু ধর্মে শঙ্খের গুরুত্ব অপরিসীম।
শুধু হিন্দু ধর্ম নয়, বৌদ্ধ ধর্মেও শাঁখের ব্যবহার রয়েছে। শঙ্খে ফুঁ দিলে তাতে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় তা থেকে অশুভ শক্তি দূর হয় বলে ধর্মীয় বিশ্বাস। তাই তো হিন্দুদের সব পুজোতেই শঙ্খ বাজানোর রেওয়াজ আছে।
বৈদিক মতে শঙ্খ দু’প্রকারের হয়। একটি পুজোর কাজে ব্যবহার করা হয় এবং অন্যটি বাজানো হয়। নিয়ম অনুসারে গৃহস্থ বাড়িতে অন্তত দু’বার শঙ্খ বাজাতে হয়— একবার সকালে ও একবার বিকেলে।
শঙ্খ বাড়িতে রাখলে বা বাজালেই চলবে না, তার সঙ্গে সঠিক নিয়মে শঙ্খের ব্যবহার জানতে হবে। তবেই গৃহস্থের মঙ্গল। অনেক বাড়িতেই শঙ্খ রয়েছে, কিন্তু তা বাজানো হয় না বা ভুল নিয়মে শঙ্খটি রাখা আছে। এর ফলে শঙ্খের যে শুভ প্রভাব আছে তা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তাই সঠিক ভাবে বাস্তু মেনেই শঙ্খ ঘরে রাখতে হয়।
জেনে নিন কী ভাবে বাস্তু মেনে শঙ্খ রাখতে হয়—
• যে শঙ্খ বাজানো হয়, তাতে জল দিয়ে ঠাকুরের কাছে রাখা যাবে না। এই শঙ্খ হলুদ কাপড়ে মুড়ে রাখতে হয়।
• বাজানোর শঙ্খটিকে পুজোর কাজের শঙ্খের থেকে একটু ওপরে স্থাপন করতে হবে।
• বাড়িতে অন্তত দু’টি শঙ্খ রাখতে হবে এবং এই শঙ্খ দু’টিকে পরস্পরের থেকে দূরে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে সোনা বন্ধক দিন, বিক্রি করবেন না, কেন জানেন?
• একই কাজে ব্যবহার করা দু’টি শঙ্খ কখনওই এক ঘরে রাখবেন না।
• শাঁখ এবং শিবলিঙ্গ যেন কখনও স্পর্শ না করে। শিবলিঙ্গের থেকে শঙ্খ সব সময় নীচে রাখতে হবে।
• জল শঙ্খ সব সময় সাদা কাপড়ে মুড়ে রাখা বাস্তু বিধেয়।
• সূর্যদেব ও মহাদেবের পুজোয় কখনও জল শঙ্খের জল অর্পণ করতে নেই।
• শঙ্খ নিয়মিত বাজালে হার্টের সমস্যা কম হয়।