—প্রতীকী চিত্র।
নামের অক্ষরের উপর জীবনে অনেকটা ভাল ও খারাপ প্রভাব নির্ভর করে। রাশি অনুযায়ী নাম রাখার প্রচলন জ্যোতিষশাস্ত্রে আছে। আর এই নামের প্রথম অক্ষরের দ্বারা বোঝা যায় যে সেই মানুষটি কেমন। তার বেশ কিছুটা চরিত্র সম্পর্কে নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে বলা যায়। বুদ্ধি সকল মানুষেরই আছে। কারও একটু কম এবং কারও একটু বেশি। তিনটি নামের অক্ষর যাঁরা জীবনে সবথেকে বুদ্ধিমান ও চালাক হয়। এঁরা বুদ্ধিমত্তার দ্বারা প্রায় সব জায়গাতেই বাজিমাত করতে সক্ষম হন।
দেখে নিই কোন তিনটি নামের অক্ষরের মানুষ অতিরিক্ত বুদ্ধিমান হয়
১) অক্ষর D বা দ
এই অক্ষরের মানুষরা খুব বেশি পরিমাণে চালাক হয়। এঁ রা চালাকির দ্বারা যে ভাবে হোক নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন। এঁরা যা বলেন তাই করেন। জেদ এঁদের খুব বেশি হয়। খুব বুদ্ধি হওয়ার ফলে ব্যবসা বা কর্মে প্রচুর উন্নতি করতে পারেন। জেদ থাকলেও অহংকার একদমই থাকে না এঁদের। কোনও বিপদে পড়লে নিজেদের কী ভাবে বিপদের হাত থেকে সরিয়ে নিতে হয়, সেই পন্থা খুব ভাল জানে। নিত্যনতুন কিছু করার ইচ্ছা সব সময় এঁদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে।
২) অক্ষর H বা হ
এই অক্ষরের মানুষরা অতি বুদ্ধিদীপ্তি হওয়ার পাশাপাশি খুব সংবেদনশীল ও রহস্যময় হন। নিজের দুঃখ বা সুখ কোনও বিষয়ের কথাই কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পছন্দ করেন না। নিজের মান সম্মানের দিকটা খুব বেশি বোঝে। এঁরা নিজের ভালবাসার কথা কাউকে বোঝাতে পারে না। তবে যদি কাউকে ভালবাসেন, তা হলে তার জন্য সব কিছু করতে পারেন। তাই এঁদের দাম্পত্য জীবন খুব সুখের হয়। এঁদের বন্ধু বা শত্রু দুটোরই সংখ্যা খুব কম হয়। বুদ্ধি বেশি হওয়ার জীবনে অর্থ কষ্ট পেতে হয় না। যদি কোনও কাজে সাফল্য পেতে হয় তা হলে এই নামের অক্ষরের মানুষরা সবথেকে এগিয়ে থাকেন।
৩) অক্ষর T বা ট
এই নামের মানুষরা খুব বেশি বুদ্ধিমান ও চালাক হন। তর্ক করা এঁদের স্বভাবের অন্যতম অংশ। অর্থ, নাম, যশ এবং প্রতিপত্তি খুব বেশি হয় এঁদের জীবনে। কিন্তু প্রেমের বিষয়ে একটু দুর্বল হন। কিন্তু মানুষ হিসাবে খুব বেশি যত্নবান হন। ঝঞ্ঝাট ঝামেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে বেশি পছন্দ করে। শান্তিপ্রিয় পরিবেশে থাকতে বেশি ভালবাসেন। মানুষকে যতটা সম্ভব সাহায্য করতে চান। ঘর ও বাহির দু’দিকেই সামলে চলার ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন এঁরা। সব পরিবেশেই এঁরা খুব মানানসই। এঁরা জীবনে ওকালতি, মিডিয়া, রাজনীতি ও প্রশাসনিক কাজে খুব উন্নতি করতে পারেন।