বাস্তুশাস্ত্র, যে আটটি দিকের উপর ভিত্তি করে নির্মিত, সেই আটটি দিকের বৈশিষ্ট্য বা গুরুত্ব সম্বন্ধে জানা দরকার।বাস্তুশাস্ত্রে এই দিক গুলোর বিশেষত্ব বা গুনাগুন অনুযায়ী ঘর, ঠাকুরঘর, বারান্দা, স্নানের ঘর ইত্যাদি নির্মান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১। পূর্ব দিককে বংশের দিক বলা হয়। তাই গৃহ নির্মানের সময় পূর্ব দিকের কিছুস্থান খোলা ছেড়ে দেওয়া উচিত। এতে গৃহস্বামীর আয়ু বৃদ্ধি হয়।
২। পশ্চিম দিকে সফলতা, কীর্তি, যশ ও ঐশ্বর্য প্রদান করে।
৩। উত্তর দিকে মায়ের স্থান। উত্তরে খালি জায়গা ছাড়লে মাতুল বংশের কল্যান হয়।
৪। দক্ষিন দিক ধন সমৃদ্ধি, শান্তি ও প্রসন্নতার দিক। দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির দক্ষিনমুখী। তাই আজও স্ব-মহিমায় উজ্বল।
৫। ঈশান কোন বংশ বৃদ্ধির স্থায়ীত্ব প্রদান করে। তাই এই কোনে কোনও প্রকারের দোষ ত্রুটি যাতে না থাকে সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত।
৬। অগ্নি কোন গরম থাকে বলে স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্রুটিপূ্র্ন অগ্নিকোন গৃহস্বামীকে বদরাগী করে।
৭। বায়ু কোন শত্রু এবং মিত্রের দিক। এইদিকে কোন ত্রুটি থাকলে শত্রু বৃদ্ধি ঘটে। আবার দোষমুক্ত, বায়ু কোন কল্যানকারী, উত্তম বন্ধুপ্রাপ্তি ঘটায়।
৮।নৈঋত কোন ভালো ব্যবহার ও সুবিচারের জন্ম দেয়। এই কোনে কোনও দোষ থাকলে গৃহস্বামী জীবস্মৃত হয়ে বেঁচে থাকে।
পৃথিবীর আলো এবং শক্তির উৎস হল সূর্য। সূর্যরশ্মির মধ্যে লুকিয়ে আছে আসল জীবনদায়ীনী শক্তি। তাই প্রাচীন শাস্ত্রজ্ঞরা সূর্যের উপর ভিত্তি করে, আট দিকের উপর সৌরশক্তির প্রভাব বিশ্লেষন করে, গৃহ নির্মানের বিধান দিয়ে গেছেন।