গণেশ বন্দনায় সকল বিঘ্ন নাশ হয় এবং মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনা শুভ ফল দান করে। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে সিদ্ধিদাতা গণেশ ভক্তদের মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য ধরাধামে অবতীর্ণ হন। সিদ্ধিদাতা গণেশ সাফল্য, বিঘ্ন নাশকারী, বুদ্ধি, জ্ঞান, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের দেবতা।

Advertisement

সুপ্রিয় মিত্র

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২০ ০০:০৪
Share:

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনা শুভ ফল দান করে। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে সিদ্ধিদাতা গণেশ ভক্তদের মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য ধরাধামে অবতীর্ণ হন। সিদ্ধিদাতা গণেশ সাফল্য, বিঘ্ন নাশকারী, বুদ্ধি, জ্ঞান, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের দেবতা।

Advertisement

শুভ কাজ, এমনকি যে কোনও পুজোর শুরুতে গণেশ বন্দনা করলে সব বিঘ্ন নাশ হয় এবং সাফল্য প্রাপ্ত হয়।

পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, দেবী পার্বতীর পুত্র গণেশের জন্মের পর সদ্যজাতকে আশীর্বাদের জন্য সকল দেবদেবীর সঙ্গে শনিদেবকেও আসার অনুরোধ করেন পার্বতী। শনিদেব আশীর্বাদ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। দেবী পার্বতীও নারাজ। বাধ্য হয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আশীর্বাদের উদ্দেশে গণেশের দিকে তাকাতেই গণেশের মাথা পুড়ে ছাই। প্রিয় পুত্রের অবস্থা দেখে পার্বতী অচেতন হলেন। দেব দেবীদের অনুরোধে ভগবান বিষ্ণু এক হস্তী মস্তক এনে গণেশের মাথায় রাখতেই তিনি জীবন ফিরে পান। পার্বতীর জ্ঞান ফিরতেই প্রিয় পুত্রের রূপ দেখে ক্ষুব্ধ হন। সকলেরই মনে প্রশ্ন জাগে, এই রূপে গণেশ কী ভাবে দেবলোকে সম্মান এবং মর্যাদা পাবেন। অবশেষে দেবাদিদেব মহাদেব গণেশকে গণপতি এবং সিদ্ধিদাতা হিসাবে স্বীকৃতি দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: সন্ধ্যাবেলা এই কাজ করুন, বাস্তু দোষ এবং বিপদ একেবারে কেটে যাবে

হিন্দু শাস্ত্রে যে কোনও শুভ কাজ এবং পুজোর শুরুতে সাফল্য কামনায় সবার আগে সিদ্ধিদাতা গণেশ বন্দনা বিধি।

এ বারের গণেশ পুজোর দিণ ক্ষণ—

আগামী ২২ অগস্ট, ৬ ভাদ্র, শনিবার, শুক্লপক্ষ

তিথি– চতুর্থী (শ্রী শ্রী গণেশ চতুর্থী)

২১ অগস্ট, ৫ ভাদ্র, শুক্রবার রাত ১১টা ০৩ মিনিটে পুজো শুরু

২২ অগস্ট, ৬ ভাদ্র, শনিবার রাত ০৭টা ৫৮ মিনিটে সমাপ্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement