ভাগ্যগুণে যাঁরা রাগী স্বামীকে পেয়েছেন, তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না আপনার স্বামীকে কী ভাবে সামলাবেন। এই ব্যাপারে ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র ভাল বিধান দিয়ে গিয়েছে, তা ১২টি টিপসের মাধ্যমে আলোচনা করা হল—
১) স্ত্রী হিসেবে আপনার কর্তব্য, আপনার স্বামী যখন শোওয়ার ঘরে বসবেন তখন যেন তিনি সব সময় ওই ঘরের ঈশান কোণে বসেন তা দেখা। দীর্ঘকাল ঈশান কোণে বসলে তার মস্তিষ্কের উত্তেজক কোষগুলি শান্ত হতে থাকবে অদৃশ্য পজিটিভ রশ্মির প্রভাবে।
২) ‘চন্দ্রের যন্ত্রম’ জ্যোতিষীকে দিয়ে তৈরি করিয়ে তা যদি আপনাদের শোবার ঘরের পূর্বদিকের দেওয়ালে রাখেন, তার প্রশমনকারী প্রভাব রাগান্বিত স্বামীকে শান্ত হতে সহায়তা করবে।
৩) বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণকে অগ্নি কোণ বলে। বাস্তুমতে অগ্নিকোণে যদি কোনও ঘর থাকে, সেই ঘরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কোনও কারণে বা অকারণে বসবেন না, তা হলে স্বামীর ভিতরের ক্রোধের প্রকাশ সে ভাবে বাইরে আসতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিবাহিত জীবনে সমস্যা? বিয়ের কার্ডে এই ভুলগুলো ছিল না তো?
৪) স্ত্রী হিসেবে রাগান্বিত স্বামীকে সামলাতে আপনার উচিত আপনার স্বামী কোন ভঙ্গিমায় ঘুমোন সেটা জানা। তাঁকে বলতে হবে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের নিয়ম মেনে, ঘুমোবার সময় তিনি যেন দক্ষিণ বা পূর্ব দিকে মাথা রেখে ঘুমোন তার ব্যবস্থা করা। এর ফলে তাঁর শরীর ও মন দুটোই প্রশমিত থাকবে।
৫) শোবার ঘরে কী জাতীয় ছবি বা ম্যুরাল টাঙানো আছে তার একটা প্রভাব অবচেতনে প্রভাব ফেলে থাকে। তাই এমন ছবি যদি আঁকিয়ে টাঙানো হয় ওই ঘরের ঈষান কোণে, যেখানে এক ঝাঁক সাদা হাঁস নীল আকাশে উঁচু থেকে আরও উঁচুতে উড়ে চলেছে দল বেধে অজানার উদ্দেশ্যে চলেছে। এই জাতীয় ছবি ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলে অবচেতন মনের উপর, যার ফলে ক্রোধ প্রশমিত হয়ে শান্ত ভাব আসে স্বামীর মধ্যে।
৬) ক্রুদ্ধ স্বামীকে শান্ত রাখতে একগুচ্ছ ময়ূরের পালক শোবার ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে সাজিয়ে রাখা উচিত। পালক থেকে শান্ত প্রভাব পাওয়া যায়। বাস্তুমতে, ময়ূরের পালক শুভ ভাব বহন করে।
৭) রাত্রে শোবার ঘরে হালকা সাদা বা সবুজ আলো রাখতে হবে স্বামীর রাগ প্রশমনের জন্য।
৮) শোবার ঘরের দেওয়ালের রঙে হালকা শেড রাখতে পারলে তা স্বামীর ক্রোধ প্রশমনে সহায়ক হয়।
৯) যাঁদের স্বামী খুব রাগী, তাঁদের স্ত্রীরা যদি সাজসজ্জা এবং জামাকাপড় স্বাভাবিক ছিমছাম করে পরতে পারেন তা হলে স্বামীর রাগ অনেকটা প্রশমিত হবে।
১০) স্বামীর রাগ যাতে বাড়তে না পারে, তার জন্য স্ত্রী ২০/২৫ রতির এমিথিস্ট বা বেরিল জাতীয় পান্না কোনও চিনামাটির পাত্রে রেখে স্বামীর মাথার কাছে রেখে দিতে পারেন। তা হলে ধীরে ধীরে স্বামীর স্বভাবের পরিবর্তন আসতে থাকবে।
১১) স্ত্রী বিশেষ ভাবে দেখা দরকার, তাঁর স্বামী যেন প্রবাল ও চুনি, এই দু’টি রত্ন যেন কোনও দিন ধারণ না করেন। এই রত্নগুলি আমাদের মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে তোলে।
১২) ঘুমের আগে রোজ পছন্দমতো খুব হালকা সুরের পুরনো দিনের গান শোনার অভ্যাস স্বামীর মধ্যে গড়ে তুলতে পারলে তাঁর স্বভাব অচিরে পরিবর্তিত হবে।