—প্রতীকী ছবি।
প্রথমেই বলব, দেবী কাত্যায়নী অর্থাৎ কে এই মা কাত্যায়নী। হিন্দু শাস্ত্র মতে মা দুর্গার নয়টি অবতারের ষষ্ট অবতার হলেন মা কাত্যায়নী। যাঁর পুজো নবরাত্রির ষষ্ট দিনে করা হয়ে থাকে।
শাস্ত্রে এমনও দাবি করা হয়েছে যে, নিয়মিত মা কাত্যায়নীর পুজো করলে আমাদের চার পাশের খারাপ শক্তির প্রভাব অনেকটা কমে যায়। অশুভ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও কম হয়ে যায় এবং ভাগ্য সহায় হতে খুব একটা সময় লাগে না।
এখনকার সময়ে ভালবাসার জন্য মনের মতো মানুষ পাওয়া একটু কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে। ভালবাসার মানে বোঝার পর থেকে বেশ কিছুটা সময় চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করতে হয় যে, কে আমাদের মন বুঝবেন। কে আমাদের ভালবাসার গুরুত্ব দেবেন।
আর যদিও সঠিক প্রেম হয়েও যায়, তাতেও অনেক সময় নানা দিক থেকে বাধা চলে আসে। যার ফলে হয়তো মনের মতো মানুষ পেয়েও বিবাহ সম্ভব হয় না। তাই বিবাহে বাধা কাটাতে মা কাত্যায়নী মন্ত্র জপ করা অত্যন্ত জরুরি।
এই মন্ত্র জপ করলে শুধু বিবাহ নয়, মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হয়। এ ছাড়া মা কাত্যায়নীর আরাধনা এক মনে করতে পারলে মঙ্গল দোষও কেটে যায়। যদি কোষ্ঠীতে মঙ্গল দোষের কারণে বিবাহজনিত সমস্যা থাকে তা হলে এই মন্ত্র জপ করলে মঙ্গল দোষ কেটে গিয়ে খুব সুন্দর ভাবে বিবাহ সুসম্পন্ন হয়।
কাত্যায়নী মন্ত্র—
এই দুটি মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলে মনের মতো সঙ্গী পাওয়া যায় এবং বিবাহ সংক্রান্ত সব বাধাও কেটে যায়।
১) কাত্যায়নী মহামায়ে মহায়োগনিনাথেশ্বরী। নন্দোপুস্তম দেবীপাতিম মে কুরু তে নমহ।
২) ওম হ্রিং কাত্যায়নী সোয়াহা।। হ্রিং শ্রিং কাত্যায়নী সোয়াহা।
মা কাত্যায়নী পুজোর নিয়ম
সকালে স্নান করে লাল বস্ত্র পরিধান করতে হবে। তার পর মায়ের মুর্তি বা ছবি লাল কাপড়ের ওপর স্থাপন করতে হবে, লাল ফুল ও চন্দন দিয়ে পুজো করলেই সকল বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।