বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাজুড়ে রাখি উত্সব পালন করেছিলেন। এই দিনটিতে মেয়েরা ছেলেদের হাতে রাখী বেঁধে দেয়। পড়ে মিষ্টিমুখ করায়। এই ভাবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় হয় ও নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ দূর হয়।
পৌরানিক কালে যেমন ভাবে শ্রীকৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষী, দৈত্যরাজ বলিরাজকে একটি রাখী বেঁধে দেন। রানি কর্ণবতী, মুঘল সম্রাট হুমাযুনকে একটি রাখী পাঠিয়ে ছিলেন।
এখন দেখে নেওয়া যাক এই উৎসবে জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রাশি অনুসারে কার কী রং ব্যবহার করা যেতে পারে—
১। মেষ রাশি যাদের, তারা লাল বা সাদাটে বা হলদেটে রং ব্যবহার করলে ভাল। নীল, সবুজ বা কাল রং ব্যবহার না করাই ভাল।
২। বৃষ রাশি যাদের, তারা গোলাপি, সাদা বা হালকা সবুজ রং ব্যবহার করুন কিন্তু হলুদ বা লাল না ব্যবহার করাই ভাল।
৩। মিথুন রাশির জাতকেরা সবুজ বা হালকা হলুদ বা গোলাপি বা সাদা ব্যবহার করতে পারেন। নীল ও লাল রং এদের পক্ষে ভাল নয়।
৪। রাশিচক্রে চতুর্থ রাশি কর্কটের সাদা, হলুদ বা লাল ভাল কিন্তু সবুজ বা গাঢ় লাল নয়।
৫। সিংহ রাশির জন্য কমলা বা সোনালি কিন্তু সাদা বা নীল নয়।
৬। কন্যা রাশির পক্ষে সবুজ, সাদা বা হালকা হলুদ ভাল। লাল কখনওই ভাল নয়।
৭। তুলা রাশির পক্ষে হালকা নীল বা সাদা রং বা যে কোনও উজ্জ্বল রং ভাল ফল দেয় কিন্তু লাল কখনওই নয়।
৮। বৃশ্চিক রাশির ক্ষেত্রে লাল, সাদা, লালচে খয়েরি, কমলা, হলুদ, নীল রং ভাল নয়।
৯। ধনু রাশির ক্ষেত্রে গাঢ় হলুদ বা কমলা বা হালকা সবুজ বা ঘিয়ে রং ব্যবহার করলে ভাল, নীল কখনওই নয়।
১০। মকর রাশির ক্ষেত্রে বেগুনি-লাল, বেগুনি, নীল-বেগুনি, ময়ূরপঙ্খী রং, খাকি, কালো, খুব গাঢ় খয়েরি বা সবুজ ব্যবহার করতে পারেন। তবে লাল, হলুদ থেকে দূরে থাকা ভাল।
১১। কুম্ভ রাশির ক্ষেত্রে হালকা নীল, হালকা বেগুনি-লাল, বেগুনি, নীল-বেগুনি, ময়ূরপঙ্খী রং ভাল। আবার সাদা বা কোনও উজ্জ্বল রংও ভাল কিন্তু গাঢ় নীল বা গাঢ় সবুজ ভাল নয়।
১২। মীন রাশির ক্ষেত্রে হলুদ, কমলা, গোলাপি ইত্যাদি রং ভাল কিন্তু কালো বা গাঢ় উজ্জ্বল কোনও রং ভাল নয়।