জন্মকালীন রবি কোন রাশিতে অবস্থান করে, তার উপর নির্ভর করে আমাদের প্রকৃতি গড়ে ওঠে। প্রকৃতিগত ভাবে ভাল হলে কী ধরনের ভাল আর মন্দ হলে কতটা মন্দ, তা নির্ভর করে জন্মকালীন রবি কোন রাশিতে অবস্থান করছে তার উপর।
জীবনে আমরা অনেকের সঙ্গে মেলামেশা করি। সে আত্মীয় হতে পারে, বন্ধু হতে পারে, প্রতিবেশী— যে কেউ হতে পারে। বাইরে থেকে কে খারাপ আর কে ভাল, এটা বোঝা বেশ কঠিন। কিন্তু জন্মতারিখ জানা থাকলে তার প্রকৃতি ধরাটা অনেকটাই সহজ হয়ে পড়ে।
এখানে জন্মকালীন রবি অনুসারে জাতকের প্রকৃতির খারাপ বা নেগেটিভ দিকগুলি খুব সংক্ষেপে আলোকপাত করা হবে যাতে মেলামেশার ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা সাবধান থাকতে পারি। র্যাঙ্ক অনুসারে খুব খারাপ থেকে অল্প খারাপ এই ভাবে রাশিগুলি উল্লেখ করা হল।
১। কর্কট (জুন ২২-জুলাই ২১): এই রাশির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এরা অতিরিক্ত মাত্রায় অস্থির প্রকৃতির। অপরাধ করার ক্ষেত্রে এরা সবার উপরে। এরা অপরাধ করার পর চিহ্ন এঁকে দিয়ে বোঝায় যে, এরা প্রতিশোধ নিয়েছে। বুঝতেই পারছেন, এরা প্রয়োজনে কতটা নৃশংস হতে পারে। এরা বার বার একই অপরাধ করে থাকে। তাই সমাজে আমরা যখন মেলামেশা করি তখন যে কোনও কর্কটের জাতক/ জাতিকার সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক এড়িয়ে চলাই ভাল।
আরও পড়ুন: আশ্বিন মাস অর্থাৎ দুর্গাদেবীর আগমনের মাসে জন্ম হলে জাতক কেমন হয়
২। বৃষ (এপ্রিল ২০-মে ২০): এই সময়ে জন্ম হলে খুব মেজাজি হয়ে থাকে। এরা কখন যে রেগে ওঠে বলা কঠিন। এদের রাগ থামতেই চায় না। এরা প্রকৃতিগত ভাবে গোঁয়ার। এমনিতে এরা বেশ শান্ত। তবে এরা অপরকে নিজের অধীনে রাখতে সব সময়ই আগ্রহী। এরা প্রচণ্ড ডমিনেটিং মেন্টালিটির হয়। ক্রোধের বশবর্তী হয়ে যতটা নীচে নামা যায় ততটাই নামতে পারে। মেলামেশার ক্ষেত্রে এদের সঙ্গে কোনও বৈরী মনোভাব না রাখাই ভাল।
৩। ধনু (নভেম্বর ২৩-ডিসেম্বর ২১): এই সময়ে জন্ম হলে এরা প্রচণ্ড কর্কশ স্বভাবের হয়ে থাকে। এদের মধ্যে প্রকৃতিগত ভাবে একটা হঠকারী ভাব কাজ করে। এদের ভিতর চোরের স্বভাব বা চুরি করার প্রবণতা কম বেশি কাজ করে। তবে এরা রক্তপাতহীন অপরাধ করে। এটাই এদের বিশেষত্ব। এই রাশির জাতকের জেল থেকে পালানোর রেকর্ড সবচেয়ে বেশি।
৪। মেষ (মার্চ ২১-এপ্রিল ১৯): র্যাঙ্ক অনুসারে মেষ চতুর্থ বিপজ্জনক রাশি। এরা কখনও অন্যের বশ্যতায় থাকতে চায় না। যদি এদের জোর করে রাখার চেষ্টা করা হয়, তবে এরা বেঁকে বসে। নিজেরা ভীষণ একগুঁয়ে প্রকৃতির হয়। যা বলে তাই করে থআকে। এরা অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। এদের মধ্যে অনেকে ভাড়া করা গুন্ডা হয়ে থাকে। এরা নিজেদের জন্য অপরাধ করার চেয়ে অন্যের স্বার্থে বেশি অপরাধ করে।
৫। মকর (ডিসেম্বর ২২-জানুয়ারি ১৯): মকর আবার অল রাউন্ডার ক্রিমিনাল। এরা অপরাধ করে বাছবিচার না করেই। তাই সব ধরনের অপরাধমূলক কাজে এদের যুক্ত হতে দেখা যায়। পকেটমার থেকে খুনি, সব ধরনের কাজে এরা যুক্ত থাকতে পারে। এদের একটাই ভুল, এরা ভীষণ অসাবধানী। তাই ১২টা রাশির মধ্যে মকরের লোকেরা খুব সহজেই ধরা পড়ে যায়।
৬। কন্যা (অগস্ট ২৩-সেপ্টেম্বর ২২): ক্রাইমের দিক থেকে কন্যা ষষ্ঠ স্থানে। কন্যাকে খুঁতখুঁতে ও নিখুঁত রাশি বলে মনে করা হয়। এরা ভাল কাজ যেমন নিখুঁত ভাবে মন দিয়ে করে, তেমনই খারাপ কাজও নিখুঁত ভাবে মন দিয়ে করে। তাই এরা যখন অপরাধ করে, তা এমন ভাবে করে, তা করার পর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। এক অর্থে এরা মকরের ঠিক বিপরীত।