তুলা: তুলা হচ্ছে প্রখর রুচিবোধের মানুষ। এরা ঐতিহ্যশালী, বিখ্যাত স্থানগুলিতে বাস করতে চায়। যে স্থানের নাম শুনলে মানুষের মনে সম্ভ্রমের উদয় হয় এমন স্থানে বাস করাকে খুব সৌভাগ্যের বলে মনে করে। এরা বাড়ি করার আগেই খোঁজ রাখে শহরের এলিট এলাকা কোনগুলি। এরা চায় এমন স্থানে বাস করতে যেখানে শপিং মল ও নামকরা রেস্তরাঁ আছে, এরা অনেকটা বৃষরাশির মতো অভিজাত চিন্তার মানুষ।
বৃশ্চিক: এরা সেই সব স্থানে বাসস্থান নির্মাণ করতে চায় যে স্থানগুলি কিছুটা ঐতিহাসিক। এরা চায় ওই স্থানগুলিতে প্রাচীন ভাবধারা থাকবে। এরা চায় এমন স্থানে থাকতে যেখানে নদী বা জলাশয় আছে।
ধনু: ধনু বৃহস্পতির রাশি, তাই ধনুর সঙ্গে সব সময় জড়িয়ে থাকে ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতা বা দার্শনিকতা। এরা তাই সেই স্থানে বাস করতে ভালবাসে যেখানে অনেক মঠ, মন্দির, গীর্জা, আশ্রমিক পরিবেশ বা সন্ধ্যাবেলা একসঙ্গে বেজে ওঠে আরতির ঘণ্টা, যেমন বারাণসী, হরিদ্বার, হৃষীকেশর মতো পরিবেশে। এরা সেই স্থানে থাকতে ভালবাসে যেখানে জনসমাগম হয়।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী আপনার বাসস্থান কেমন হবে (প্রথম অংশ)
মকর: মকর আবার স্বাস্থ্যসচেতন, তাই বাসস্থান নির্মাণের আগে চিকিৎসার সুযোগসুবিধা যেখানে বেশি পাওয়া যাবে তার কাছাকাছি স্থান পছন্দের তালিকায় প্রথম স্থানে রাখে। যে স্থানে বেশি সংখ্যক হাসপাতাল, নার্সিংহোম, চিকিৎসকদের সমাগম আছে এমন স্থানেই এরা বাসস্থান নির্মাণের চেষ্টা করে থাকে। মকর স্থায়িত্বের রাশি, কিন্তু শক্তির রাশি নয়। তাই স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য এরা সচেতন থাকে।
কুম্ভ: কুম্ভের লোকেরা যে কোনও জায়গার বাসস্থানে থেকে সুখী থাকে। এদের মধ্যে খুঁতখুঁতে ভাব অন্তত বাসস্থান নির্মাণের ক্ষেত্রে সে ভাবে কাজ করে না। তবে এরা জনবহুল জায়গায় থাকতে চায়। নদী থেকে খুব দূরের জায়গাগুলি এদের অপছন্দের তালিকায় থাকে।
মীন: মীন জলরাশি। সমস্ত জলরাশির মতোই মীন বাস করতে ভালবাসে পুকুর, দিঘি, বিল ও নদী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। এরা চায়, ঘরের জানলা খুললেই যেন দেখা যায় নৈসর্গিক কোনও জলরাশি। এরা ভাঙাচোরা, পুরনো-নতুন সব স্থানেই বাস করতে পারে। তবে ছোট জলাশয়, একটু সবুজ পেলে এরা খুব খুশি হয়।