দুর্গাপুজোর একটি অপরিহার্য ও অন্যতম প্রধান অংশ হল সন্ধিপুজো। আধ্যাত্মিক দিক থেকে দেখতে গেলে সন্ধি কথাটির একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সন্ধি কথার অর্থ হল ‘মিলন’। সন্ধিপুজো হল অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনের সময়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির শুরুর ২৪ মিনিট, মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে সাঙ্গ করতে হয় এই সন্ধিপুজো। যে দুই তিথির মহামিলন ঘটে সেই সময়কে মহাসন্ধিক্ষণ বলা হয়। এই পুজো করার অর্থ হল একে অপরের সঙ্গে মিলিত হওয়া। সব ঝগড়া বিবাদ ভুলে গিয়ে একসঙ্গে থাকা।
মা দুর্গার সন্ধি পুজোয় ১০৮টি পদ্মফুল এবং ১০৮টি প্রদীপ উৎসর্গ করতে হয়। এই দু’টি ছাড়া মায়ের পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যদি বিধি মতে এই পুজো করা যায়, তা হলে নানা জীবনে রূপ ফল পাওয়া যায়।
সন্ধিপুজো করলে কী কী ফল পাওয়া যায়—
• যে কোনও কাজে সাফল্য আসে: বলা হয় সন্ধিপুজোর পরই মাকে প্রণাম করে যদি কোনও কাজ শুরু করা হয়, তা হলে সেই কাজে সাফল্য আসবেই।
আরও পড়ুন: সারা বছর মা দুর্গার কৃপা পেতে চান? তা হলে পুজোর দিনগুলোতে ঘুম থেকে উঠেই করুন এই কাজ
• মনের জোর বাড়ে: এই পুজোর সময় যদি এক মনে দুর্গা মন্ত্র জপ করা হয় তা হলে মা খুব খশি হন এর ফলে মনের জোর বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক অবসাদও কমে যায়।
• শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: সন্ধিপুজোর সময় একমনে মায়ের আরাধনা করলে মায়ের সন্তানরাও বেজায় খুশি হন। এর ফলে মানসিক সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
• পরিবার সুখের হয়: ১০৮টি পদ্ম ফুল দিয়ে মায়ের পুজো করলে সংসারে ঝগড়া বিবাদ অনেকটা কমে যায়। বাড়ির কোণায় কোণায় পজিটিভ শক্তি ভরে যায়। সুখের ঝাঁপি সর্বদা ভরে থাকে।
• গ্রহ দোষ কেটে যায়: সন্ধিপুজো করার ফলে গ্রহ দোষ কেটে যায় এবং খারাপ স্বপ্ন দেখার প্রবণতাও কমতে থাকে।
• মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হয়: এই পুজোর মাধ্যমে মনের ছোট থেকে বড় সকল ইচ্ছা পূরণ হতে দেখা যায়।
• রোগ ব্যাধি দূরে চলে যায়: সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণ মুহূর্তে মায়ের নাম নিতে থাকলে রোগ ব্যাধি দূরে চলে যায়।