মঙ্গল নবগ্রহের মধ্যে অন্যতম গ্রহ। মঙ্গলকে প্রধানত পাপগ্রহ বলে মানা হয়। মঙ্গলগ্রহের কুণ্ডলী তত্ত্বে অবস্থানের উপর মাঙ্গলিক দোষ নির্ভর করে। আপনার জন্মলগ্ন যদি মেষ হয়ে থাকে এবং আপনার জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গলের অবস্থান লগ্ন চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশে হয় তবে আপনাকে মাঙ্গলিক ধরা হবে।
জেনে নেওয়া যাক আপনার লগ্নের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে কী প্রকার ফল দেয়—
মেষ লগ্নের প্রথম ঘরে মঙ্গল থাকলে জাতক স্বাভিমানী, মহত্বকাঙ্খী, কোমল স্বভাব, আকর্ষক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, বুদ্ধিমান, পরিশ্রমী ও উৎসাহী হয়। জাতকের শরীর হৃষ্টপুষ্ট হয়।
চতুর্থ ঘরে মঙ্গলের অবস্থান (কর্কট) জাতক পিতার পক্ষে ভাগ্যশালী কিন্তু মাতৃসুখ বঞ্চিত হয়। স্ত্রীর স্বাস্থ্য ভাল যায় না।
আরও পড়ুন: স্ত্রী কি কথায় কথায় খুব রাগ করেন? জেনে নিন কী করবেন
সপ্তম ঘরে (তুলায়) মঙ্গল থাকলে জাতক নিজ জীবনে উপস্থিত বিপরীত লিঙ্গের ভূমিকা থেকে কষ্ট পেতে পারেন। জাতকের ব্যবসায়ে প্রতিকূলতা থাকবে ও শত্রু সমস্যা থাকবে। সন্তান দ্বারাও অসুখী হতে পারে। গুপ্ত রোগের আশঙ্কাও থাকে বিশেষ ক্ষেত্রে।
অষ্টম ঘরে, অর্থাৎ বৃশ্চিকে এই ঘরকে মৃত্যুর ঘর বলা হয়। এই ঘরে মঙ্গল থাকলে জাতকের আয়ুবৃদ্ধি হয়, কিন্তু আয় বাধাপ্রাপ্ত হবে। ভাইবোন দ্বারা অসুখী এবং দুর্ঘটনার সন্মুখীন হতে পারে।
দ্বাদশ ঘরে, অর্থাৎ মীনে মঙ্গলের অবস্থান হলে জাতক অমিতব্যয়ী, ভ্রমণ উৎসাহী হয়। ব্যবসাতে কঠিন সংগ্রামের পর সাফল্য পাওয়া যায়।
আসুন, জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি সাধারণ প্রতিকার—
১। নিজে মিষ্টি রুটি তৈরি করে কুকুরকে খাওয়ানো উপকারী।
২। বগলামুখী স্তোস্ত্র বা কবচ পরা উপকারী।
৩। কুমারী কন্যা বা ভাগ্নীকে মিষ্টি খাওয়ানো শুভ ফলদায়ী।
৪। দক্ষিণ দিকে দ্বারযুক্ত ঘরে বাস করা উচিত নয়।