মা আসছেন! মায়ের কাছে আমাদের চাওয়া পাওয়ার কোনও শেষ নেই। আমরা, তার সন্তানরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি কবে দুর্গাপুজো আসবে। মা কখন তার আশির্বাদের ছায়া আমাদের ওপর বর্ষাবেন এবং মায়ের কৃপায় সব দিক সুখ শান্তিতে ভরে উঠবে। মায়ের কৃপায় সারা বছর ভরে থাকতে মহাষষ্ঠীর দিন করুন এই টোটকা।
টোটকার নিয়ম
এই টোটকাগুলো অবশ্যই ষষ্ঠীর দিন করতে হবে। এই টোটকা করার সময় স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করা অতি আবশ্যক।
প্রথম টোটকা- একটি লাল চেলিতে একটি নারকেল (নারকেলটির ওপর সিঁদুর দিয়ে মায়ের নাম অথবা স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হবে), এক মুঠো আতপ চাল, অল্প সাদা তিল, একটু সিদ্ধি এবং যে কোনও একটি হলুদ ফুল একসঙ্গে রেখে চেলিটি বেঁধে ফেলুন। তার পর বাড়ির ঠাকুরের স্থানে সেই চেলিটি রেখে দিতে হবে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত। এই উপাচারটি করার সময় যে কোনও একটি মনস্কামনা বলতে পারেন। দশমী হয়ে গেলে মা বিসর্জন হওয়ার পর সেই জিনিসগুলো টাকা রাখার জায়গায় রেখে প্রতি দিন ধূপ দীপ দেখিয়ে পুজো করতে হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মহাপঞ্চমীর দিনের বিশেষ ফলদায়ী টোটকা
টোটকার ফলাফল–
• এই টোটকা করলে জীবন থেকে নানা সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
• আর্থিক উন্নতি হতে দেখা যাবে।
• চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতি হবে।
• মান সম্মান ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে।
দ্বিতীয় টোটকা– দেবী দুর্গার একটি ছবি রেখে তার সামনে একটি কর্পুরদানিতে কিছুটা কর্পুর এবং পাঁচটি লবঙ্গ রেখে দিন। তার পর ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যাবেলা ধূপ ধুনো সহকারে সেই কর্পুর ও লবঙ্গ একসঙ্গে জ্বালিয়ে মায়ের আরতি করুন এবং আরতি করার সময় এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে।
মন্ত্র– ওঁ হ্রীং দূর্গায়ৈ নমঃ।।
টোটকার ফলাফল–
• অতিরিক্ত আর্থিক কষ্টে যাঁরা ভুগছেন তাঁদের জন্য এই উপাচারটি খুবই ফলপ্রসূ।
• বাড়িতে যদি বাস্তু দোষ থাকে তার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
তৃতীয় টোটকা– ষষ্ঠীর দিন একটি টবে ছোট একটি কলাগাছ লাগান এবং সেই কলাগাছটিকে একটি হলুদ কাপড় দিয়ে মুড়ে দিন। কলাগাছের গোড়ার দিকে হলুদ সুতো বেঁধে দিন। তার পর ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সেই কলাগাছের গোড়ায় জল দিন এবং ধূপ দীপ জেলে পুজো করুন।
টোটকার ফলাফল–
• ব্যবসায় অনেক দিন ধরে যাঁদের মন্দা চলছে তাঁদের এই টোটকা অত্যন্ত উপযোগী। ব্যবসায় খুব সহজেই উন্নতি ফিরে আসবে।