মাইনের অর্থাৎ রোজগারের পরিমাণ যতটাই হোক না কেন, তা যদি সঠিক ভাবে খরচ করা হয়, তা হলে সৌভাগ্য দ্বিগুণ বেড়ে যাবে এতে কোনও সন্দেহ নেই।
কথাটা শুনতে একটু অবাক লাগলেও, জ্যোতিষ মতে এই কথাটার গুরুত্ব প্রবল ভাবে রয়েছে। হিন্দু সনাতন মতে রোজগারের টাকা যদি সঠিক ভাবে খরচ এবং সঞ্চয় না করা হয়, তা হলে জীবনে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন হয়ে যায়।
তাই মাইনে পাওয়ার পর এমন একটি কাজ আছে, যা করলে পুণ্য অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সৌভাগ্যও বৃদ্ধি পায়। শুধু সৌভাগ্য নয়, এর ফলে পরিবারের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে মধুর সম্পর্কে জুড়ে থাকে এবং জীবনে সুখ শান্তি বজায় থাকে।
আরও পড়ুন: আপনার কি এই অভ্যাসগুলো আছে? যদি থাকে তা হলে সঞ্চয়ে বাধা আসতে পারে
পুরাণে দানের ফলে পুণ্য লাভের উল্লেখ রয়েছে। দান এমন একটি কাজ, যার ফলে অজস্র পুণ্য অর্জন করা যায়। তাই মাইনে পাওয়ার পর যেটুকু সম্ভব দান করতে হবে। তবে দানের সময় মনে কোনও ভাবে অহংবোধ বা দম্ভ প্রকাশ পেলে চলবে না। নিঃস্বার্থ ও মনে আনন্দ রেখে দান করতে হবে। তবেই পুণ্য লাভ করা যাবে।
কিন্তু যদি কোনও ভাবে অহং ও দম্ভ প্রকাশ পায়, তা হলে পুণ্যের ফল পাওয়া যায় না। তাই মাইনে পাওয়ার পর খরচ করার আগে সামান্য অংশ হলেও দান করতে হবে। তবে দান করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও করতে হবে। জীবনে বুঝে খরচ ও সঞ্চয় করা অতি জরুরী।