চোখের বর্ণ ও মানব প্রকৃতির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। জলবায়ু অনুসারে মানুষকে বহু বিপরীত পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে, সেই সঙ্গে নানা ধরনের অভিযোজন তার শরীরে ঘটেছে যা আমরা জীববিজ্ঞান পড়ে জেনেছি। জলবায়ুর প্রভাব ও অভিযোজন অনুসারে নানা জায়গার মানুষের চোখের বর্ণ সেই রূপ নানা ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
আমরা এখানে চোখের বিভিন্ন বর্ণের কারণে নারীর প্রকৃতি কেমন হয়ে থাকে তা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করব:
যে সব নারীর চোখের বর্ণ বাদামী: বাদামী বর্ণের চোখের মহিলারা সাধারণত বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলে। এদের সহ্যক্ষমতা বেশি, এনার্জিও বেশি, কর্মঠ, সাহসী পদক্ষেপ করে থাকে। এরা মাটির ও প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভালবাসে। এদের মধ্যে সব সময় সৃষ্টিশীলতা কাজ করে। স্বাধীন মনোভাবাপন্ন।
যে সব নারীর চোখের বর্ণ কালো: যে সব মহিলার চোখের বর্ণ কালো হয়ে থাকে এরা কমবেশি রহস্যময়তাকে আশ্রয় করে থাকে। এরা সব কিছুকে কিছুটা হেঁয়ালি ও রহস্য করে রাখতে ভালবাসে। এদের মধ্যে গোপনচারিতা সব সময়ে কাজ করে থাকে। এরা কিছুটা আলোর বিপরীতে চলতে চায়, প্রেম বা রোমান্সে এরা খুব একটা খোলামেলা মন নিয়ে চলতে ভালবাসে না, এরা রহস্য সৃষ্টি করে আনন্দ পেয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: আপনার মানিকোড জেনে নিন (তৃতীয় অংশ)
যে সব নারীর চোখের বর্ণ হেজেল (Hazel): এরা ভিতরে ভিতরে পুরোপুরি স্বাধীন মনোভাবাপন্ন ও ভীষণ সাহসী মানসিকতার হয়ে থাকে যা বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। এরা ভীষণ স্পর্শকাতর প্রকৃতির হয় তাই এদের ভিতর প্রবল ভাবে এমপ্যাথি কাজ করে। এরা সহানুভূতিপ্রবণ হয়ে থাকে। অন্যের দুঃখ-কষ্টে এরা খুব সহজেই বিচলিত হয়ে পড়ে।
যে সব নারীর চোখের বর্ণ নীল: নীল চোখের মহিলারা প্রায় ক্লারোভয়েন্ট বা আলোকদৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে থাকে। কালো চোখের মহিলারা কেউ কেউ সাইকিক পাওয়ারকে নীচ স্বার্থে ব্যবহার করে থাকে, কিন্তু এরা ঠিক তার উল্টো হয়ে থাকে। এরা অনেকেই সাধিকার জীবন পছন্দ করেন। এরা নীল আকাশের মতো উদার মনের হয়। এরা ভীষণ ভাবে চারপাশের প্রকৃতির প্রতি নজর রেখে চলে। এরা ভবিষ্যৎ ও অতীতকে বুঝতে পারে।
যে সব নারীর চোখের বর্ণ সবুজ: সবুজ বর্ণের চোখের মহিলারা সব সময় প্রকৃতির মতো সবুজ মনের অধিকারী হয়ে থাকে। এরা সব সময় সতেজ ভাবে বেঁচে থাকে এবং অন্যদেরও একই ভাবে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে। এরা জীবনধারণে সব সময় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এদের প্রায় সবাই প্রকৃতিপ্রেমী। এরা প্রবল ভাবে আধ্যাত্মিক মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকে। এরা অন্যের কল্যাণে ভাবনাচিন্তা করে থাকে।
যে সব নারীর চোখের বর্ণ ধূসর বা গ্রে: ধূসর চোখের মহিলারা আধ্যাত্মিক জীবনযাপনে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে খুব ছোট থেকেই। এরাও ভীষণ স্পর্শকাতর স্বভাবের ও এমপ্যাথি সম্পন্ন হয়ে থাকে। এরা জ্ঞানী হয়ে থাকে, যা বাইরে থেকে অন্যের পক্ষে বোঝা কার্যত অসম্ভব। এদের অনেকে খুব দৃঢচেতা স্বভাবের মহিলা হয়ে থাকে।