স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ঝগড়া মান-অভিমান থাকবে না, এটা আবার হয় না কি! কথায় আছে, দম্পতির মিষ্টি ঝগড়ায় প্রেম বাড়ে। কিন্তু ঝগড়া যতক্ষন মিষ্টি থাকে তত ক্ষণই ভাল। অতিরিক্ত ঝগড়ায় দূরত্ব বাড়ে।
অনেক দম্পতিই মানসিক শান্তি বিসর্জন দিয়ে এক ছাদের নীচে থাকতে বাধ্য হন। এ ভাবে কিছু দিন কাটানো গেলেও দীর্ঘ দিন কাটানো সম্ভব নয়। নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য যত তাড়াতাড়ি মেটানো যায় ততই মঙ্গল। এই কলহ মেটানোর জন্য অনেকেই অনেক রকম চেষ্টা করে থাকেন। তবুও সমস্যা পুরোপুরি ভাবে মেটাতে সক্ষম হন না। রোজের বৈবাহিক সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রতি দিন নিয়ম মেনে মন্ত্র পাঠ করলে জীবনে সুখের হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: সংসারে দাম্পত্য সুখ বজায় রাখতে চাইলে এই ফুল গাছগুলি অবশ্যই বাড়িতে লাগান
অনেক দম্পতির মধ্যেই ঝগড়া ঝাঁটি সেরকম ভাবে না থাকলেও মতের কোনও ভাবেই মিল থাকে না। দু’জনের ভাবনা সব সময় দুই প্রকার হয়। তাঁদের ক্ষেত্রে কী করা উচিত? তাঁরা সকাল বেলা স্নান সেরে যে কোনও ফাঁকা জায়গায় পূর্ব দিকে মুখ করে বসবেন। সামনে দেবী পার্বতীর মূর্তি রেখে ভক্তি ভরে দেবীকে স্মরণ করে ২১ বার এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে:
মন্ত্র– অক্ষৌ নৌ মধুসংকাশে অনীকং নৌ সমংজনম্/ অতঃ কৃণুষ্য মাং হৃদি মন ইত্রৌ সহাসতি।'
যে দম্পতির মধ্যে নিত্য দিন অশান্তি লেগেই আছে, তাঁরা সূর্য ওঠার আগে উঠে স্নান সেরে শিব মন্দিরে গিয়ে মন্ত্র উচ্চারণ সহকারে শিবের মাথায় জল ঢালুন।
মন্ত্র– 'ওং নমঃ সম্ভবায় চ ময়ো ভবায় চ নমঃ/ শংকরায় চ ময়স্করায় চ নমঃ শিবায় চ শিবতরায় চ।'
জীবনে একেবারেই বৈবাহিক সুখ শান্তি নেই, নতুন করে বৈবাহিক শান্তি ফিরে পেতে, সকাল বেলা স্নান সেরে দুর্গা মূর্তির সামনে ধূপ, প্রদীপ ও ফুল অর্পণ করে এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করুন:
মন্ত্র– 'ধাং ধিং ধুং ধূর্জটে! পত্রী বাং বিং বুং বাগ্ধীশ্বরী/ ক্রাং ক্রিং ক্রুং কালিকা দেবী! শানত্ শিং শুং শুভম্ কুরু।'
ভক্তি ভরে নিয়ম পালন করলে ২১ দিনের মধ্যে ফল পাওয়া যায়।