১৪২৬ সালটি সিংহ লগ্নের জাতক-জাতিকাদের জন্য খুবই আশাপ্রদ। গ্রহ সঞ্চারগুলি সবই আপনাদের পক্ষে যাবে। প্লীহা-যকৃৎ সংক্রান্ত কিছু সমস্যা, বাতরোগ থেকে কষ্ট, শ্লেষ্মাধিক্য বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভোগার আশঙ্কা বেশি। তবে শরীর অচল হয়ে পড়ার ভয় নেই। আর্থিক অবস্থা ভাল থাকবে। ব্যবসায়ে উন্নতি, চাকরিতে পদোন্নতি, গৃহসংস্কার বা পরিবর্তন হতে পারে। কর্মসূত্রে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগও আসতে পারে।
ভাই-বোনেদের সঙ্গে মতবিরোধ ঘটলেও বিচ্ছেদ হবে না, প্রয়োজনে তাদের সাহায্য পাওয়া যাবে। তাদের শরীর সম্বন্ধে সচেতন থাকা উচিত হবে। বন্ধুদের সঙ্গে সুসম্পর্কে চিড় ধরবে না। নিজের কটূ কথায় কাউকে না রাগালে সব বন্ধুর কাছ থেকে সহযোগিতা ও উপকার পাবেন। বাবা-মায়ের শরীর বিশেষ ভাল থাকবে না। তাঁদের স্বাস্থ্যের উন্নতির দিকে নজর দিতে হবে। তাঁদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখলে জাতকের মঙ্গল হবে। মাঝেমধ্যে শ্লেষ্মা, বায়ুঘটিত রোগ ও সামান্য আঘাত প্রাপ্তিজনিত শারীরিক কষ্ট দেখা দিলেও জীবনসঙ্গীর শরীর মোটামুটি ভালই থাকবে। অবিবাহিতের বিবাহ যোগ প্রবল। বিবাহে ভাল প্রাপ্তির যোগ লক্ষ্যণীয়। পুরনো কোনও মামলা থেকে এই বছর নিষ্কৃতি পেতে পারেন। বিদ্যার্থীদের আশানুরূপ ফললাভে বাধা আসতে পারে। তবে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার আশঙ্কা নেই। সন্তানদের স্বাস্থ্য ও আচরণ নিয়ে মানসিক উদ্বেগ থাকলেও বিদ্যালাভ ও পরীক্ষায় কৃতকার্য লাভের যোগ বিদ্যমান। অপ্রিয় সত্য কথা আপনার শত্রু বৃদ্ধি করবে। কাউকে বিশ্বাস করলে ঠকতে হতে পারে।
প্রতিকার: মনের অস্থিরতা ত্যাগ করে মন শক্ত করে ধর্ম করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। ইষ্টমন্ত্র জপ অথবা শিবমন্ত্র জপ কিংবা পঞ্চাঙ্গ শান্তি স্বস্ত্যয়ণ জাতকের পক্ষে মঙ্গলদায়ক হবে। নবগ্রহ কবচ ধারণেও উপকার হবে। রক্তপ্রবাল, নীলা, গোমেদ ও ক্যাটস্-আই ধারণেও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। অনন্তমূল, শ্বেতবেড়েলার মূল, শ্বেতচন্দনের মূল ও অশ্বগন্ধার মূল ধারণ করলেও কিছু সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলা নতুন বছরে কর্কট রাশির জাতকের জীবনে কী কী ঘটতে পারে