অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
এই বছরটা কর্কট লগ্নের মিশ্র ফলদায়ক। বর্তমান বছরে অম্ল, অজীর্ণ, বাত, প্রমেহ, কিডনি সংক্রান্ত রোগ এবং পেট ও শরীরের নিম্নাংশের রোগে কষ্ট ভোগ করতে হলেও এই লগ্নের জাতকের শারীরিক অবস্থা অশুভ নয়। উপার্জন মন্দ হবে না। ব্যয় কিছু বেশি হলেও সঞ্চয় হবে। অর্থাৎ অর্থভাগ্য ভাল। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে পদোন্নতি ও বদলির যোগ লক্ষ্যণীয়। ওষুধ ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ভাল উন্নতি হবে।
ভাই-বোনেদের সঙ্গে সম্পর্কে সামান্য অবনতি দেখা যাচ্ছে। পুরনো সম্পর্ক থেকে তিক্ততা বাড়বে। তবে বড় ধরনের কোনও বিরোধের যোগ নেই। ভাই-বোনেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে নজর রাখা প্রয়োজন। দু’একজন বন্ধু ছাড়া অন্য কোনও বন্ধু বিশেষ উপকারে আসবে না। নতুন কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে প্রতারিত হওয়ার যোগ রয়েছে। এই লগ্নের বিদ্যালাভে আগ্রহের অভাবে পরীক্ষার ফল আশানুরূপ হবে বলে মনে হয় না। বাবার স্বাস্থ্য অপেক্ষা মায়ের শরীর বেশি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। বাবা-মায়ের সঙ্গে আচরণ ভাল রাখলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। সন্তানদের পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, অবাধ্য আচরণ এবং স্বাস্থ্যের অবনতিতে জাতক বেশি মাত্রায় অস্থির ও চিন্তিত হয়ে পড়বে। জীবনসঙ্গীর স্বাস্থ্য মোটামুটি ভাল থাকবে। জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা বিশেষ উপকারে আসবে। জীবনসঙ্গীর ভাগ্যে এ বছর ধনলাভ, ভূসম্পত্তি লাভ বা ক্রয় হতে পারে। নতুন বাড়ি নির্মাণ ও বাড়ি সংস্কার যোগও রয়েছে। শত্রুদের দ্বারা অনিষ্টের আশঙ্কা প্রবল হলেও সুকৌশলে তাদের অপচেষ্টা ব্যর্থ করার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। তা না হলে সাংসারিক দিক দিয়ে সমস্যা চলবে। বাধা-বিঘ্ন অগ্রাহ্য করে আগ্রহ ভরে ধর্মে মন দিলে অনেক সুফল লাভ হবে। বিবাহযোগ্যদের আশ্বিন মাসের পর বিবাহের যোগ প্রবল।
প্রতিকার: ইষ্টমন্ত্র জপ অথবা দুর্গানাম জপ অথবা শিবনাম জপে অশুভের শান্তি হবে। অশুভ শান্তির জন্য মহামৃত্যুঞ্জয় কবচ ও নবগ্রহ কবচ ধারণ বিশেষ শুভ। রক্তপ্রবাল, রক্তমুখী নীলা, পীত মুক্তো, গোমেদ ধারণেও উপকার পাওয়া যাবে। অনন্তমূল, শ্বেতবেড়েলার মূল, বৃহদ্দারক বা বিষতারকের মূল ও শ্বেতচন্দনের মূল ধারণ করলেও আংশিক উপকার হবে। ইষ্টমন্ত্র জপে সর্বাধিক সুফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: মিথুন লগ্নের জাতকদের কেমন যাবে ১৪২৬