পুজো যে দেবতারই হোক না কেন, পুজোর মূল উদ্দেশ্য সাংসারিক কল্যাণ ও শ্রীবৃদ্ধি। ছবি: ফেসবুক
বাংলার বিভিন্ন ব্রতের মধ্যে ইতু পুজোর ব্রত উল্লেখযোগ্য। ইতু পুজো সাধারণত মহিলাদের ব্রত। কার্ত্তিক মাসের সংক্রান্তিতে (মাসের শেষ দিন) এই ব্রত শুরু হয়। সমগ্র অগ্রহায়ণ মাস এই ব্রত পালন করে অগ্রহায়ণের সংক্রান্তির দিন এই ব্রতের সমপন্ন হয় ইতু বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
একটি মাটির পাত্রে মাটি ভরে কচু, কলমি লতা, আখ, শুশুনি, ধান, পাঁচ কলাই ইত্যাদি (পারিবারিক প্রথা অনুসারে গাছ এবং রীতির পরিবর্তন হয়) গাছ এবং বীজ বপন করে তাকে পুজো করা হয়। প্রত্যহ শুদ্ধ বস্ত্রে শুদ্ধ মনে জল দান করা এবং প্রতি রবিবার ব্রাহ্মণ দ্বারা নৈবিদ্য সহযোগে পুজো ও ইতুর ব্রতকথা শ্রবণ এই ব্রতের নিয়ম। সমগ্র অগ্রহায়ণ মাস পুজোর পর অগ্রহায়ণ সংক্রান্তিতে পুকুর বা নদীতে ইতু বিসর্জন রীতি।
ইতু কি বা কে এই ব্যাপারে মতভেদ আছে। কেউ কেউ মনে করেন, ইতু মিত্র অর্থাৎ ইতু পুজোর অর্থ সূর্য পূজা। এই কারণেই মাসের প্রত্যেক রবিবার ইতু পুজোর রীতি।
মতান্তরে ইতু পূজা ইন্দ্রদেবের পুজো। পুজো যে দেবতারই হোক না কেন, পুজোর মূল উদ্দেশ্য সাংসারিক কল্যাণ ও শ্রীবৃদ্ধি। ভক্তি ভরে ইতু পুজোর ব্রত করলে আর্থিক উন্নতি, সংসারের শ্রীবৃদ্ধি হয় এবং মনোবাসনা পূর্ণ হয়।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে –
বাংলার – ৩০ কার্ত্তিক, বুধবার।
ইংরেজি – ১৬ নভেম্বর, বুধবার।
শ্রী শ্রী মিত্র (ইতু) পূজারম্ভ।
বাংলা ৩০ অগ্রহায়ণ , শুক্রবার।
ইংরেজি ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার।
শ্রী শ্রী মিত্র (ইতু) পূজা সমাপন ও বিসর্জন ।
গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা মতে –
বাংলার – ৩০ কার্ত্তিক, বৃহস্পতিবার।
ইংরেজি – ১৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার।
শ্রী শ্রী মিত্র (ইতু) পূজারম্ভ।
বাংলা ২৯ অগ্রহায়ণ, শুক্রবার।
ইংরেজি ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার।
শ্রী শ্রী মিত্র (ইতু) পুজো সমাপন ও বিসর্জন।