সকলের হাতেই কমবেশি নানা ধরনের, নানা আকৃতির চিহ্ন থাকে। সাধারণত হাতে যে সকল চিহ্নগুলি থাকে সেগুলি হল চতুষ্কোণ চিহ্ন, তারা চিহ্ন, যব বা দ্বীপ চিহ্ন, ক্রশ চিহ্ন ইত্যাদি। আর এই চিহ্নগুলিকে দেখেও কোনও মানুষের ভাগ্য সম্বন্ধে জানা সম্ভব। এক কথায় বলতে গেলে হাতের রেখার যেমন গুরুত্ব আছে, তেমনি গুরুত্ব আছে এই চিহ্নগুলিরও। আর তাই এই গুরুত্বের কথা ভেবেই এখনকার আলোচ্য বিষয় এই চিহ্নগুলিকে নিয়েই।
----ঃত্রিভুজ চিহ্ন ঃ-------
এই চিহ্নটি ত্রিভুজের মতো দেখতে বলে একে ত্রিভুজ চিহ্ন বলা হয়ে থাকে। তবে এই চিহ্নটি নানা ধরনের হয়।
১। এই চিহ্নটি শনির ক্ষেত্রে থাকলে জাতকরা গুপ্তবিদ্যায় বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করে থাকে।
২। ত্রিকোণ বা ত্রিভুজ চিহ্নটি চন্দ্র স্থানে থাকলে জাতক কবি, শিল্পী অথবা ধার্মিক প্রকৃতির হয়।
৩। এটি শুক্র স্থানে থাকলে ভালবাসার পরীক্ষা করে তবেই প্রেমে লিপ্ত হয়।
৪। ত্রিকোণ চিহ্ন বুধের ক্ষেত্রে থাকলে জাতক জীবনের পেশাগত দিকে নানা রকম সমস্যার সন্মুখীন হয়। তবে এরা বিদ্বান ও রাজনীতিজ্ঞ হয়ে থাকে।
৫। রবির ক্ষেত্রে এটি থাকলে জাতক-জাতিকা নাটক, কলাবিদ্যা বা বিজ্ঞানে বিশেষ পারদর্শী হয় এবং এর দ্বারা ধন ও খ্যাতি অর্জন করে থাকে।
৬। যদি চন্দ্র ক্ষেত্রের নীচের দিকে ত্রিভুজ চিহ্ন থাকে, তবে জাতক বিশেষ সন্মান লাভ করে।
৭। ত্রিভুজ চিহ্ন মঙ্গলের ক্ষেত্রে থাকলে জাতক-জাতিকারা অস্ত্রবিদ্যায় পারদর্শী ও রণনীতি বিশারদ হয়।
৮। বৃদ্ধাঙ্গুলির প্রথম পর্বে যদি ত্রিভুজ চিহ্ন থাকে, তবে জাতক নিজের ইচ্ছাশক্তিকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কাজে লাগায়। কিন্তু বৃদ্ধাঙ্গুলির একেবারে গোড়াতে এই চিহ্ন থাকলে জাতকের জীবনে দুর্ভাগ্যের উন্মেষ ঘটে।
৯। অনামিকার প্রথম পর্বে এই চিহ্ন থাকলে জাতক প্রসাধন ও সৌন্দর্য সংক্রান্ত বিষয়ে পারদর্শী হয় এবং অনামিকার তৃতীয় পর্বে ত্রিভুজ চিহ্ন থাকলে জাতক অত্যাধিক কথা বলে।